শিরোনাম
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আর তার জেরে ফুলেফেঁপে উঠছে তেল উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের পরিমাণ। বুধবার (৬ অক্টোবর) শেয়ারবাজারে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে দুই ট্রিলিয়ন (দুই লাখ কোটি) ডলার মূলধনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে সৌদি আরামকো। এর ফলে গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করেছে তারা। সূত্র: আল জাজিরা
বার্তা সংস্থা এপি’র খবর অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দামী প্রতিষ্ঠান হওয়ার দৌঁড়ে কেবল অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের পেছনে রয়েছে সৌদি আরামকো। প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ মালিকানাই সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রণে। এর মাত্র দুই শতাংশ শেয়ার সৌদি তাদাউল শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত।
বুধবার কার্যদিবসের মধ্যভাগে সৌদি আরামকোর শেয়ারের দর উঠেছিল ৩৭ দশমিক ৬ রিয়াল বা ১০ দশমিক ০৩ মার্কিন ডলারে। তবে শেষের দিকে তা কমে ৩৭ দশমিক ২ রিয়াল বা ৯ দশমিক ৯২ ডলারে দাঁড়ায়। এরপরও মূলধনের হিসাবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হওয়ার সম্মান অর্জন করেছে আরামকো।
সৌদি আরামকোকে শেয়ারবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাটি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। তার নির্দেশেই ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে নাম লেখায়।
সম্প্রতি বিশ্ববাজারে তেলের দাম গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে এতেও চাহিদা না কমায় বিপুল লাভের মুখ দেখছে সৌদি আরামকো। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তাদের আয় হয়েছে আনুমানিক ৪৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যা গত বছর একই সময়ে তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এর ফলে করোনার আঘাতে আয় কমে যাওয়ার আগে যে অবস্থায় ছিল আরামকো, দ্রুতই সেই পরিস্থিতিতে ফিরে গেছে তারা।
তবে সৌদি আরামকোর আয়ের হিসাবে ওঠানামা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক ৭৫ বিলিয়ন (সাড়ে সাত হাজার কোটি) ডলারের লভ্যাংশ দেওয়ার নীতিতে অটল রয়েছে, যার সবচেয়ে বড় অংশই পাবে সৌদি সরকার।