পালিয়ে বেড়াচ্ছেন গোতাবায়া, শিগগিরই ফিরতে হচ্ছে দেশে

ফানাম নিউজ
  ১২ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৫

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। প্রথমে তিনি যান মালদ্বীপে। কিন্তু সেখানেও বিক্ষোভ করেন শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। এরপর ভ্রমণ ভিসায় সিঙ্গাপুর যান তিনি। সেখান থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এক সময়ের প্রভাবশালী এই রাজনীতিবিদ। এবার সেখান থেকে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। ভ্রমণ ভিসায় এ দেশটিতে গোতাবায়া থাকতে পারবেন তিন মাস। জানা গেছে, অন্য কোনো বিকল্প না থাকায় চলতি বছরের শেষের দিকে তাকে দেশে ফিরতে হতে পারে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য সিঙ্গাপুর ছাড়বেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। ভ্রমণ ভিসায় তিনি ৯০ দিন থাইল্যান্ডে থাকতে পারবেন। যদিও তিনি কোনো দেশেই এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি।

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চ্যান ও চা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে নিশ্চিত করেছেন যে, রাজাপাকসেকে মানবিক কারণে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তাছাড়া এটি কেবল একটি অস্থায়ী অবস্থান বলে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের পক্ষে সরাসরি আবেদন করে ও গোতাবায়ার থাইল্যান্ডে অস্থায়ী আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি চায়।

নভেম্বরে ৯০ দিনের থাই ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসবেন কারণ তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক ও দেশে থাকার সব আইনি অধিকার তার রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গোতাবায়া রাজাপাকসে এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে সেখান থেকে তিনি ইতিবাচক কোনো সাড়া পাননি।

আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আর্থিক সম্ভাবনার অন্যতম দেশ হতে পারতো দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তেমনটি না ঘটে বরং ফল হয়েছে উল্টো। দিন দিন বেড়েছে ঋণের বোঝা। ভেঙে পড়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থা। খাদ্য সংকট, বেকার সমস্যা, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে গত কয়েক মাস ধরে।

এই সংকটের পেছনে রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করে আন্দোলনে নামে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। জনরোষে অবশেষে দেশত্যাগে বাধ্য হন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে এর আগেই পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে।