শিরোনাম
পরমাণু কেন্দ্র ব্যবহার করে রাশিয়া রকেট হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। দেশটির অভিযোগ, একটি দখলকৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার করে চালানো রুশ এ হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দখলকৃত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশে থেকে রাশিয়ার নিক্ষেপ করা রকেটে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। মূলত ইউক্রেনের পক্ষে সেখানে পাল্টা হামলা চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে জেনেই রাশিয়া সেটি ব্যবহার করছে।
রুশ হামলার শিকার ওই ইউক্রেনীয় শহরের নাম মারহানেটস। তবে মস্কো বলছে, তাদের হামলার আগে শত্রুরা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ান সৈন্যদের ওপর হামলা চালাতে এই শহরটি ব্যবহার করেছে। গত মার্চের শুরুতে যুদ্ধের প্রথম দিকেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নেয়।
বুধবার ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী মারহানেটস শহরে হামলার জবাব দেবে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কয়লাখনির শহর ভুলেদারসহ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে।
পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে ডিনিপ্রো নদীর ওপারে মারহানেটস শহরের কাছে ইউক্রেনীয়-নিয়ন্ত্রিত শহর নিকোপোলের মেয়র টেলিগ্রামে বলেছেন, রাশিয়ার সেনাদের গোলা গত সপ্তাহে প্রায় রাতেই কাছাকাছি একটি আবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে।
আর তাই আরও শক্তিশালী অস্ত্র পাঠানোর জন্য বিদেশি মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বুধবার গভীর রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে রাশিয়া আজ যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাব দেবে কিয়েভ।
তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় এবং দেশটির মিত্রদের অবশ্যই ‘যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করার জন্য দখলদারদের সর্বোচ্চ সম্ভাব্য ক্ষতি কীভাবে করা যায়’ তা নিয়ে ভাবতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দুদিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
এর পর গত মার্চের শুরুতে যুদ্ধের প্রথম দিকেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয়। যদিও এ স্থাপনা এখনো ইউক্রেনীয় প্রকৌশলীরা পরিচালনা করছেন। এর পর চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে।