শিরোনাম
রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে অবস্থিত সাকি বিমান ঘাঁটিতে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ জন।
বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ব্যাপারে রাশিয়া বলেছে, সেখানে থাকা অস্ত্রের গুদামে বিস্ফোরণ হওয়াতে এ ‘দুর্ঘটনা’ ঘটেছে।
রাশিয়া এটিকে দুর্ঘটনা বলে হিসেবে প্রচার করলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীই করেছে। তারা সেখানে মিসাইল হামলা চালিয়েছে।
যদিও ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি। এর বদলে তারা বলেছে ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদী ‘দুষ্কৃতিকারীরা’ ঘাঁটিতে হয়ত হামলা চালিয়েছে।
ওলেহ জাদানোভ নামে ইউক্রেনের একজন সেনা বিশেষজ্ঞ সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, পুতিনের দুর্বলতা লুকাতে নিজেদের বিমান ঘাঁটিতে ‘ইউক্রেনের হামলাকে’ দুর্ঘটনা বলে চালাচ্ছে রাশিয়া।
এ ব্যাপারে সেনা বিশেষজ্ঞ ওলেহ জাদানোভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘ সময়ের জন্য বলে এসেছেন ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ। তিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন ক্রিমিয়া পুনর্দখলের কোনো চেষ্টা করা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু মস্কো যেভাবে হামলাটি (বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ) হজম করল এটি পুতিনের দুর্বলতা দেখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার অংশ হিসেবে ক্রিমিয়াকে তার রক্ষা করার কথা। কিন্তু তিনি (পুতিন) এখন ভয় পাচ্ছেন এটি স্বীকার করতেই যে, ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের সেনারা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে এ বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে ইউক্রেনের দক্ষিণ দিকে হামলা চালায় রুশ সেনারা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক যুদ্ধ নিয়ে কাজ করা স্টাডি অব ওয়্যার নামে একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ক্রিমিয়ার সাকি বিমান ঘাঁটির দুই জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফলে এটিকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। তাদের ধারণা ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বা মিসাইল হামলা হয়েছে।
স্টাডি অব ওয়্যার আরও বলেছে, ইউক্রেন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে এটি স্বীকার করলে রাশিয়ার দুর্বলতা সামনে চলে আসবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান