শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর আলবুকারকি সিটিতে চার মুসলিম যুবককে হত্যার ঘটনায় মুহাম্মাদ আবু সাইদ নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
সাঈদ আফগান বংশোদ্ভূত সুন্নি মুসলমান। আলবুকারকি পুলিশ দপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, সন্দেহভাজনের গাড়ি অনুসরণ করে তাকে আটক করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
স্থানীয় এক মুসলিম নেতার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হত্যার ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিই চারজনকে হত্যা করেছে।
কারণ তার মেয়ে একজন শিয়া মুসলমানকে বিয়ে করেছেন। এটি মোহাম্মদ আবু সাঈদ মেনে নিতে পারেননি। নিহত চারজনই শিয়া মুসলমান।
এর আগে চতুর্থ মুসলিম ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর গত রোববার নিউ মেক্সিকোর আলবুকারকিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ঘোষণা দেন স্টেইট গভর্নর লুহান গ্রিশাম।
সবশেষ গত শুক্রবার রাতে নিহত হন ২৫ বছর বয়সি পাকিস্তানি-আমেরিকান নাঈম হোসেন। এর আগে ১ আগস্ট বন্দুক হামলায় নিহত হন মুহাম্মদ আফজাল হোসেন, ২৬ জুলাই আফতাব হোসেইন এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে মোহাম্মদ আহমাদি নামে একজনকে হত্যা করা হয়।
এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বিষয়টিতে সমালোচনামুখর হয়েছিলেন।
আলবুকারকি এলাকার একই মসজিদ থেকে গত এক মাসে তিন মুসলিমকে হত্যা করে, যাদের বয়স ২৫ থেকে ৪১ বছরের মধ্যে। গত নভেশ্বর মাসে চতুর্থ ব্যক্তি নিহত হন, যার সঙ্গে পরের তিনটি হত্যাকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
আফতাব হোসেন এবং আফজাল হোসেনকে হত্যার দায়ে সাঈদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। নিহত এই দুই ব্যক্তি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক।
আলবুকারকি শহরের পুলিশপ্রধান হ্যারল্ড মেডিনা জানান, সন্দেহভাজন সাঈদের বিরুদ্ধে অন্য দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্যও অভিযোগ আনা হবে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে মোহাম্মদ আহমাদি নামের আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি প্রথম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর পর ২৬ জুলাই এবং ১ আগস্ট আফতাব হোসেন ও মোহাম্মাদ আফজাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গত শুক্রবার এ দুই ব্যক্তির দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পাকিস্তানি নাগরিক নাঈম হোসেন নিহত হন।
কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স সাঈদের গ্রেফতারের ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থাটি শিয়াবিরোধী বিদ্বেষী মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছে, যা এই হত্যা সংঘটিত করতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
মুসলিম কমিউনিটির নেতারা বলছেন, তারা শিয়া-সুন্নি বিভেদ দেখতে চান না; বরং তারা একে অপরের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল।