শিরোনাম
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৯ জন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃষ্টিতে বাড়িঘর, রাস্তা ও পাতাল রেল স্টেশন প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা এবং শত শত লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে সিউলের কিছু অংশে মোট ৪২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা গত ৮০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে সর্বোচ্চ ৩ মাত্রার জরুরি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সিউল ও এর আশেপাশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে তিনজন বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া বেজমেন্টে আটকা পড়েন।
ছবিতে দেখা গেছে, শহরজুড়ে ভয়ঙ্কর বন্যা দেখা দিয়েছে। রাস্তায় মানুষ তাদের উরু পর্যন্ত পানিতে হেঁটে যাচ্ছে।
যদিও মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বন্যার পানি অনেকাংশে কমে গিয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসগুলো রাস্তা এবং ফুটপাতে পড়েছিল, যা সকালে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে।
সিউল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিউলের কিছু অংশে ড্রেনগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তা ও পাতাল রেল স্টেশনগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।
সোমবার রাতে বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি পাতাল রেল স্টেশন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছিল।
হান নদীর দক্ষিণের বেশ কয়েকটি অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অভিজাত ও আধুনিক গাংনাম জেলা। সেখানে কিছু ভবন ও দোকান প্লাবিত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
প্রায় ৮০০ বাসিন্দাকে স্কুল এবং জিমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্যায় ৭৪১টিরও বেশি বাড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্বেচ্ছায় স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, তিনি একটি প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কাজ করবেন।