শিরোনাম
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও পণ্য ট্রানজিটের ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ।
মঙ্গলবার ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় খোরাসান রাজাভি প্রদেশের গভর্নর মোহাম্মাদ সাদেক মোতামাদ্দিয়ানের নেতৃত্বাধীন একটি ইরানি প্রতিনিধিদল কাবুলে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওই সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানান জবিউল্লাহ মুজাহিদ। খবর ইরনার।
এসব সমঝোতার মধ্যে রয়েছে— সীমান্তবর্তী ইরানের ‘দোগারুন’ ও আফগানিস্তানের ‘ইসলাম কালা’ স্থলবন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধি, দোগারুন-ইসলাম কালা মহাসড়কের উন্নয়ন, দু’দেশের মধ্যে শুল্ক ও কাস্টমস সার্ভিস সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, আগামী এক মাসের মধ্যে অভিন্ন সীমান্তে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা, আফগানিস্তানের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর বিষয়ে আলোচনা করতে ইরানের তেল মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের কাবুল সফরের ব্যবস্থা করা, ইরান থেকে পণ্য নিতে আসা আফগান লরিগুলোর চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তালেবান মুখপাত্র বলেন, সাক্ষাতে দোগারুন থেকে ইসলাম কালা স্থলবন্দর পর্যন্ত গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন করতেও দু’দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান মুজাহিদ।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাবুল সফরে যাবে বলে কথা হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে অনেক দেশ আফগানিস্তানের উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে নিজেদের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে। ইরান এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে পাঁচ দফা মানবিক ত্রাণ পাঠিয়েছে।