শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে। চলতি বছরের শেষ দিকে বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মন্দার ফরে জ্বালানির চাহিদা কমবে, এমন শঙ্কার কারণে কমছে তেলের দাম।
বৃহস্পতিবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ড ক্রুড অয়েল প্রতি ব্যারেল ২.৭৫ শতাংশ বা ২.৬৬ ডলার কমে ৯৪.১২ ডলারে বিক্রি হয়েছে, যা গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন দর।
ওদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডে অয়েলর দর ২.১২ শতাংশ বা ২.৩৪ ডলার কমে ছিল ৯৩.১০ ডলার।
জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের জ্বালানি তেলের বড় বড় ক্রেতা দেশগুলোতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। জ্বালানির সরবরাহে ঘাটতি এবং বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল এসব দেশ।
এ বছরের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল ১২০ ডলারের বেশি উঠেছিল। করোনা মহামারির প্রকোপ কেটে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারী দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ ঘাটতিতে দাম এতটা বেড়েছিল।
রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে চলছে মন্দাবস্থা। উদীয়নমান অর্থনীতির দেশগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ নিয়ে পড়েছে বিপাকে। এ ছাড়া বিশ্বে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমেছে। এসব কারণে চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় তেলের দাম কমছে।