শিরোনাম
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ প্রান্তের হামবানতোতা বন্দরের কাছে পৌঁছে গেছে চীনের জাহাজ ইউয়ান ওয়ান ৫। ১১ থেকে ১৭ অগস্টের মধ্যে জাহাজটি বন্দরে পৌঁছে যাবে।
এই জাহাজটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ট্র্যাক করতে পারে। জাহাজে প্রচুর অ্যান্টেনা লাগানো। স্যাটেলাইট সিগন্যালও ধরতে পারে অ্যান্টেনা। জাহাজে চারশ জন কর্মী আছেন।
তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক ড্রিলের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় জাহাজ পাঠানোর ঘটনা ঘটলো। যদি এই জাহাজটি শ্রীলঙ্কার বন্দরে থাকে, তাহলে তারা ভারতের মিসাইল পরীক্ষার উপরেও নজর রাখতে পারবে। ভারত মিসাইল পরীক্ষা করলে তার বিস্তারিত তথ্য চীন পেয়ে যাবে।
চীনের এই জাহাজ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। জাহাজটি চীনের ন্যাশনাল প্রসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাতে প্রচুর সামরিক যন্ত্রপাতি লাগানো।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নালিন হেরাথ জানিয়েছেন, ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি তারা জানেন। কিন্তু এটি ‘রুটিন মহড়া’। হেরাথ বলেছেন, ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপানের মতো দেশের জাহাজ জলসীমায় ঢোকার অনুমতি চাইলে, তা সঙ্গে সঙ্গে দেয়া হয়।
২০১৪ সালে চীনের সাবমেরিন হামবানতোতা এসেছিল। ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পর আর এরকম ঘটনা ঘটেনি। এবারো শ্রীলঙ্কা বলছে, শুধু পর্যবেক্ষণের কাজেই চীন এই জাহাজ ব্যবহার করবে।
ঘটনা হলো হামবানতোতা বন্দর ৯৯ বছরের লিজে চীনের এক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার কাছ থেকেও ঋণ হিসাবে প্রচুর অর্থ বকেয়া রয়েছে চীনের।