শিরোনাম
চীনের প্রচণ্ড আপত্তি ও বাধা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে এসেছেন। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর কেন্দ্র করেই ওয়াশিংটনকে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে বেইজিং।
পেলোসির সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পাশাপাশি চীনের পক্ষ নিয়েছে উত্তর কোরিয়াও।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে যে কোনো বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে উত্তর কোরিয়া এবং সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য চীন সরকারের ন্যায়সঙ্গত অবস্থানকে পূর্ণ সমর্থন করে।
পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। বহিরাগত শক্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ধ্বংস করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের যথাযথ অধিকার।
মুখপাত্রের দাবি, এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক ও সামরিক উসকানি।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ছিল একটি স্পষ্ট উসকানি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে দেশটির।
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিবাদে বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে তলব করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার রাতে পেলোসি তাইপে অবতরণের পরই ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বেইজিং। এরই অংশ হিসেবে নিকোলাসকে তলব করা হয়েছে।
চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি ফেং বলেন, পেলোসির সফরের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং গুরুতর পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। চীন অলসভাবে বসে থাকবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।