শিরোনাম
বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, করোনা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকেও যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিইনি, সেভাবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের গুজব দূরে রেখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো দেশের মানুষকে এই রোগ থেকেও আমরা নিরাপদ রাখতে পারব।
এদিকে, আফ্রিকা থেকে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
১৯৭০ সালে মানবদেহে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। কঙ্গোর ৯ বছর বয়সী এক বালকের দেহে ভাইরাসটি ধরা পড়েছিল। এরপর আফ্রিকা থেকে বিশ্বের কয়েকটি মহাদেশে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার ঘটে। তবে চলতি বছরের মে মাসে আফ্রিকার বাইরে অসংখ্য মাঙ্কিপক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বাড়তে থাকায় সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করে।
মাঙ্কিপক্স রোগটির নামের উৎপত্তি হয়েছে মাঙ্কি (বাঁনর) থেকে। কারণ রোগটি প্রথমে একটি বাঁনরের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছিল।