শিরোনাম
আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সদ্য সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আদালতের নির্দেশে শুক্রবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে নেয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে অনেকটা চিৎকার করে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তার কথিত বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। হাসপাতালে নামানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা, বারবার রাস্তার মধ্যেই বসে পড়েন তিনি। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে পাঁজাকোলে করে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যান। এ সময় চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন অর্পিতা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত সপ্তাহে (২৩ জুলাই) পার্থকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় পার্থকে। মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য ও পরিষদীয় দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছিলেন দলের মহাসচিব ও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যও। প্রায় ১০ বছর পদ সামলেছেন দলীয় মুখপাত্র জাগ বাংলার সম্পাদকের দায়িত্বও।
মন্ত্রিত্ব থেকে ছাঁটাই করার পর পার্থর সব দলীয় পদও কেড়ে নেয়া হয়। দল থেকে বহিষ্কার করার সময় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, যাদেরকে এইভাবে ফাঁসানো হয় তাদেরকেই বিজেপি দলে টানা হয়।
আদালতের নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর পার্থ-অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ইডির গোয়েন্দাদের বিশেষ নজরদারিতে পার্থকে দক্ষিণ কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। তাদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পার্থ’র বান্ধবী অর্পিতা।
এরপর হাসপাতালে প্রবেশের সময় চিৎকার করে পার্থকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’। মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর এটাই ছিল তার প্রথম প্রতিক্রিয়া। কিন্তু কে বা কারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে কিংবা ফাঁসিয়েছে সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।