শতাধিক হিমার্স রকেট ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

ফানাম নিউজ
  ২৮ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৫

ইউক্রেনের দেনপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে শতাধিক যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো হিমার্স রকেট ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই দাবি করা হয়েছে। 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ জুলাই দেনপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের লাউবিমোভকায় জনবসতির কাছে একটি গোলাবারুদ গুদামে হামলা চালিয়ে শতাধিক রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়। 

এ সময় ওই গোলাবারুদ গুদামের দায়িত্ব থাকা ১২০ জনের মতো ইউক্রেনীয় সেনা, বিদেশি ভাড়াটে সৈন্য ও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিহত হন। 

এর আগে, সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি কামানসহ মার্কিন সরবরাহ করা অস্ত্র ‘সমুদ্র থেকে ছোড়া উচ্চ-নির্ভুল দূরপাল্লার অস্ত্র’ ব্যববহার করে ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী। 

তবে উন্নত প্রযুক্তির এই অস্ত্রও স্বস্তি এনে দিচ্ছে না ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মনে।  যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা এসব হিমার্স রকেট সিস্টেম ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির সরাসরি পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ঠ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা হিমার্স বস্তুগত পার্থক্য তৈরি করতে পারলেও স্রোত উল্টে দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। হিমার্সের চেয়ে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশি প্রয়োজন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। 

এদিকে, রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ভূমি পুনরুদ্ধারের আগে মস্কোর সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেছেন, এমন কিছু করা হলে তাতে কেবল যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। 

জেলেনস্কি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের দেশে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়া যেসব ভূমি দখল করেছে সেসব ভূমি বেদখলে রাখা অবস্থায় তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলে কেবল আরও বড় সংঘাতের সুযোগ তৈরি হবে।

জেলেনস্কি আরও বলেন, শস্য রপ্তানি ফের শুরুর জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সই হওয়া চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, মস্কোকে কূটনৈতিক ছাড় দেওয়ায় বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে, তবে ভবিষ্যতের জন্য এটা কেবল একটি অস্থায়ী অবকাশ এবং বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে।

ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে শস্য রফতানি ফের চালু করতে শুক্রবার চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ধারণা করা হচ্ছে এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে থাকা খাদ্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসতে পারে।