আয়না ভবনের চমক দেখাবেন সৌদি যুবরাজ

ফানাম নিউজ
  ২৭ জুলাই ২০২২, ১২:৩২

এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘আয়না ভবন’ নির্মাণ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হাতে নিয়েছেন প্রকল্পটি।

দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে হবে চোখ ধাঁধানো এই স্থাপত্য। যুগের পর যুগ মনে রাখার মতো স্থাপনা। নিজ দেশে কালজয়ী স্থাপনা, নির্মাণের ইচ্ছা যুবরাজ সালমানের বহু দিন ধরে।

প্রকল্পটির জন্ম সেখান থেকেই। অত্যন্ত গোপনীয় এই প্রকল্পের পরিকল্পনা সোমবার প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ‘মিরর লাইন’ নামের স্থাপনাটি গঠিত হবে দুটি প্রতিফলিত কাচের বহুতল ভবনের দ্বারা।

প্রায় ৪৮৮ মিটার (১৬০০ ফুট) উচ্চতা হবে ভবন দুটির। সমান্তরালভাবে ৭৫ মাইল জায়গাজুড়ে নির্মিত হবে ভবনটি। ভবন দুটির অবস্থান হবে মরুর, উপকূল এবং পাহাড়ের পাদদেশ।

খরচ হবে আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার। এম্পায়ার স্টেটের (১২৫০ ফুট) চেয়েও লম্বা হবে ভবনটি। সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান উন্মোচন করেন পরিকল্পনাটি। যুবরাজ সালমানের মতে, ‘প্রকল্পটি সভ্যতাগত বিপ্লব। এটি মানুষকে এগিয়ে নেবে।’

মরুভূমির বুকে নির্মিত হবে বিশাল ভবনটি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সমান যুবরাজের স্বপ্নের নিওম সিটির অংশ হবে এটি। ২০১৯ সালের ২৯ শে জানুয়ারিতে প্রকল্পটির ঘোষণা করেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

তিনি বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মিরর লাইনের নির্মাণ শেষ করতে চান। চাষাবাদের ব্যবস্থাও থাকবে ভবনের ভেতরে। তবে প্রকৌশলীদের মতে, নির্মাণকাজ শেষ করতে অন্তত ৫০ বছর সময় লাগতে পারে।

যুবরাজ সালমান আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখ বাসিন্দা যেন হেঁটে একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে পারে মাত্র পাঁচ মিনিটে।

একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়ার জন্য থাকবে ট্রেনের সুব্যবস্থা। ২০ মিনিটে ভবনের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাবে দ্রুতগতির ট্রেনটি।

জ্বালানি সরবরাহ হবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিতে। যুবরাজ সালমান জোর দিয়ে বলেছেন, ভবনগুলো সম্পূর্ণ কার্বন নিরপেক্ষ এবং স্থানীয় পরিবেশের জন্য উপযুক্ত হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মরুর জীবনযাপন কেবল গরম, আঠালো এবং বালুময় থাকবে না। মাটি থেকে এক হাজার ফুট উপরে নির্মাণ হবে একটি স্টেডিয়াম।

পরিবেশ পরিকল্পনাবিদের মতে, মিরর লাইনের বিচিত্র আকার এবং অবস্থান ব্যাহত করবে পাখির চলাচলকে। ভবনের আয়নাগুলোও বিভ্রান্ত করতে পারে পাখিদের।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, নির্মাণ পুরোপুরি শেষ হলে আকাবা উপসাগর থেকে আকাশচুম্বী ভবনটি পর্বতমালার মধ্য দিয়ে যাবে।