শিরোনাম
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। আগ্রাসন শুরুর পর দীর্ঘ এই সময়ে রাশিয়া যেটা কখনও বলেনি, এবার সেটিই বলে ফেলল। রাশিয়া বলেছে তাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের বর্তমান শাসকদের উৎখাত করা। আফ্রিকা সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ স্পষ্টভাবে এই কথা জানিয়েছেন।
লাভরভ এখন আফ্রিকার দেশগুলো সফর করছেন। সোমবার তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান শাসকদের কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। রাশিয়া ইউক্রনকে বর্তমান শাসকদের হাত থেকে উদ্ধার করবে’। লাভরভ বলেছেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানুয একসঙ্গে শান্তিতে থাকবেন। আমরা ইউক্রেনের মানুষদের বর্তমান শাসকদের সরাবার জন্য সাহায্য করব। কারণ, এই শাসকরা শুধু জনগণের বিরোধী তাই নয়, তারা ইতিহাসের বিরোধী’।
পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা মনে করছে, জেলেনস্কি যেভাবে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু লাভরভ বলেছেন, জেলেনস্কি এবং পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেনকে রাশিয়ার চিরশত্রু বানাতে চাইছে।
রাশিয়া এর আগে বলেছিল, তারা ইউক্রেনে শাসক পরিবর্তন করতে চায় না।
আফ্রিকাকে পাশে পেতে
রাশিয়া এখন আফ্রিকার দেশগুলোকে পাশে পেতে চাইছে। লাভরভ মিশর, রিপাবলিক অফ কঙ্গো সফর করেছেন। এবার তিনি উগান্ডা ও ইথিওপিয়া যাবেন।
আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর রাশিয়ার বেশ কিছুটা প্রভাব আছে। আফ্রিকার দেশগুলোও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষ নেয়নি। ইউক্রেন অবশ্য লাভরভের সফরের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, প্রথমে তারা খাদ্যসংকট তৈরি করেছে। তারপর এখন তারা আফ্রিকা গিয়ে দেশগুলোকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করছে।
খাদ্যশস্য যাবে
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে খাদ্যশস্য সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। তারপরই রাশিয়া ইউক্রেনের বন্দর-শহর ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। এখান থেকেই খাদ্যশস্য বাইরে পাঠানোর কথা। রাশিয়ার হামলার পর খাদ্যশস্য পাঠানো নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা ওডেসায় রাখা সামরিক অস্ত্রসম্ভারের উপর আঘাত করতে চেয়েছে। খাদ্যসম্ভার যেখানে রাখা আছে, তা অনেক দূরে। লাভরভও জানিয়েছেন, চুক্তি মানবে রাশিয়া। তারা ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য বাইরে আসতে দেবে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, এই সপ্তাহেই খাদ্যশস্যভর্তি প্রথম জাহাজ বাইরে যাবে। জাতিসংঘের তরফেও জানানো হয়েছে, সব পক্ষ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
জার্মানির কামান
জার্মানি তিনটি অত্যাধুনিক কামান দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদও দিয়েছে তারা। গত জুন মাসে জার্মানি সাতটি হাউইটজার কামান দিয়েছিল। এবার তারা দিয়েছে গেপার্ড কামান।
সাইমন ইয়াং জানিয়েছেন, এই যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দিতে অনেকটা সময় লাগে। এই কামানগুলোকে প্রথমে যুদ্ধের জন্য তৈরি করতে হয়। তারপর ইউক্রেনের সেনাকে তা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিতে হয়। তারপর সেই অস্ত্র যায়।