শস্য রপ্তানি শুরু কয়েকদিনের মধ্যেই, বলছে ইউক্রেন

ফানাম নিউজ
  ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:২০

বছরে লাখ লাখ টন গম, ভুট্টা ও তেলবীজ বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে ইউক্রেন। তবে দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কৃষ্ণসাগরে অবরোধ করে রাশিয়া। যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। দেখা দিয়েছে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট। এ সংকট তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কার মধ্যেই দেখা গেছে নতুন আশার আলো।

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই শস্য রপ্তানির বিষয়ে চুক্তি করে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ চুক্তি অনুযায়ী কৃষ্ণসাগর থেকে অবরোধ তুলে নেবে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনে উৎপাদিত লাখ লাখ টন শস্য বহির্বিশ্বে রপ্তানির দ্বার খুলছে। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রপ্তানির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে ইউক্রেন। কয়েকদিনের মধ্যেই শস্য রপ্তানি শুরু করার কথা জানিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসি।

ইউক্রেনের অবকাঠামোবিষয়ক মন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুবরাকভ বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী আমরা শস্য রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাণিজ্যিক জাহাজগুলো কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের জাহাজের সঙ্গে বন্দরে অবস্থান নেবে। উভয়পক্ষ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলেই কেবল এ চুক্তি কার্যকর হবে। যদি তারা (রাশিয়া) এটা না মানে, তবে চুক্তি মুখ থুবড়ে পড়বে।’

এদিকে, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তির পরদিন ২৩ জুলাই ইউক্রেনের প্রধান নৌবন্দর ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এরপর থেকে সব নৌবন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। যুদ্ধের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোতে ইউক্রেনের প্রায় ২০ মিলিয়ন অর্থাৎ দুই কোটি টন শস্য আটকে আছে। কৃষ্ণসাগরের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ান নৌবাহিনীর হাতে থাকায় শস্যভর্তি এসব জাহাজ ছেড়ে যেতে পারেনি।

অন্যদিকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির অধিকাংশ বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এসব বন্দর ব্যবহার করে শস্য রপ্তানির জন্য ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। এছাড়া বন্দরে নাবিক সংকটও রয়েছে।