শিরোনাম
দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের নামে সিঙ্গাপুরে মামলা করেছে একটি আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠন। শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশকের গৃহযুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ ভূমিকার জন্য তাকে গ্রেফতারের আর্জি জানিয়েছে বাদী পক্ষ। খবর আল জাজিরার।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে ৬৩ পৃষ্ঠার অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (আইটিজেপি) বলেছে, শ্রীলঙ্কার ২৫ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধে জেনেভা কনভেনশনের শর্তগুলো লঙ্ঘন করেছেন রাজাপাকসে। ওই সময় তিনি দ্বীপরাষ্ট্রটির শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন।
জাতিগত তামিল সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সঙ্গে লঙ্কান সরকারের গৃহযুদ্ধ সমাপ্ত হয় ২০০৯ সালে। যুদ্ধের সময় উভয় পক্ষই অন্যায় করেছিল বলে অভিযোগ অধিকার সংগঠনগুলোর।
দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক সংগঠন আইটিজেপির বক্তব্য, সার্বজনীন এখতিয়ারের ভিত্তিতে রাজাপাকসের অপরাধের বিচার করতে পারবে সিঙ্গাপুর।
ইতিহাসের গভীরতম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে টানা কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান তৎকালীন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর পরেরদিনই ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইটিজেপির নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন সুকা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস, তার (রাজাপাকসে) উত্তর দেওয়ার মতো একটি মামলা রয়েছে। আইনি অভিযোগে যুক্তি দেখানো হয়েছে, গোতাবায়া রাজাপাকসে জেনেভা কনভেনশনের শর্তের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন এবং শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইন লঙ্ঘন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, মৃত্যুদণ্ড, নির্যাতন, অমানবিক আচরণ, ধর্ষণসহ নানা ধরনের যৌন সহিংসতা, স্বাধীনতার বঞ্চনা, গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি এবং অনাহার।
এ বিষয়ে সাবেক লঙ্কান প্রেসিডেন্টের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তিনি যুদ্ধের সময় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।
সিঙ্গাপুরের অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখপাত্রও এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেননি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বলেছে, গোতাবায়া রাজাপাকসে ব্যক্তিগত সফরে সিঙ্গাপুরে গেছেন এবং সেখানে তিনি আশ্রয় চাননি বা দেওয়াও হয়নি।