রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলবে : আইসিজে

ফানাম নিউজ
  ২৩ জুলাই ২০২২, ১৮:১১
আপডেট  : ২৩ জুলাই ২০২২, ১৮:১১

রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমার সরকারের ‍বিরুদ্ধে করা মামলা চলতে কোনো বাধা নেই বলে রায় দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত- আইসিজে।

রায়ে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার মামলার বিচারকার্য অব্যাহত থাকবে। আইসিজে সভাপতি জোন ডনেহু জানিয়েছেন, গাম্বিয়ার আবেদনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার আইনগত এখতিয়ার এই ট্রাইব্যুনালের রয়েছে। এই বিষয়ে একমত হয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা।

তিন বছর আগে করা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ২০১৭ সালে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনে গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের বিচারমন্ত্রী আবু বকর মারি তামবাদু আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন তখনকার দেশটির সরকারের প্রতিনিধি নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচি।

শুনানিতে অংশ নিয়ে মিয়ানমার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি আদালতে এই মামলা চলতে পারে না বলে দাবি করে এসেছে। তাদের যুক্তি, গাম্বিয়া রাষ্ট্র হিসেবে নয় ৫৭ দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসি এর ‘ছায়া’ হয়ে এই মামলা করেছে। যেখানে আইসিজে এর নিয়ম অনুযায়ী শুধু রাষ্ট্রই মামলা করতে পারে, কোনো জোট নয়।

মিয়ানমারের আরেকটি যুক্তি ছিল গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়া সরাসরি কোন পক্ষে যুক্ত নয়। সেইসঙ্গে মিয়ানমার নিজেরাও জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন সম্পূর্ণ না মানায় আদালতের এই মামলা চালানোর এখতিয়ার নেই। তবে আইসিজে এর বিচারকরা মিয়ানমারের যুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক্ষেত্রে গাম্বিয়ার দেয়া যুক্তিগুলো গ্রহণ করে মামলা চলমান রাখার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন। শুক্রবার এই রায় আসে দীর্ঘ শুনানির পরে।

এর আগে ২০২০ সালে আইসিজে-তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় গাম্বিয়াকে সহায়তা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সহিংসতাকে গত মার্চে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।