শিরোনাম
ভারতে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাঁওতাল নারী দ্রৌপদী মুর্মু। যদিও ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচিত হতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভোট তিনি পেয়েছেন। বিজেপির পছন্দের প্রার্থী দ্রৌপদীই প্রথম কোনো আদিবাসী নারী যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন। ভারত পাচ্ছে তাদের দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি।
দ্রৌপদী ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই শপথ নেবেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ ওইদিন শেষ হবে।
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডুর কাছে একটি সাঁওতাল উপজাতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ও দাদা উভয়েই পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার অধীনে গ্রামের প্রধান ছিলেন।
তার স্বামী শ্যাম চরণ মুর্মু ও দুই ছেলে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বর্তমানে তার একটি মেয়ে আছে।
রাজনীতিতে যোগদানের আগে স্কুল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। পরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্, রায়রঙ্গপুর এর একজন সহকারী অধ্যাপক এবং ওড়িশা সরকারের সেচ বিভাগে জুনিয়র সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।
১৯৯৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। আর রায়রঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এমনকি ভারতীয় জনতা পার্টি তফসিলি উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওড়িশা রাজ্যে বিজেপি ও বিজু জনতা দলের জোট সরকারের শাসনামলে ২০০২ সালের ৬ মার্চ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাণিজ্য ও পরিবহন এবং ২০০২ সালের ৬ আগস্ট থেকৈ ২০০৪ সালের ১৬ মে পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এ ছাড়া, তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ২০০৪ সালে রায়রঙ্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একজন সদস্য নির্বাচিত হন। আর ২০০৭ সালে ওড়িশা বিধানসভা দ্বারা তিনি সেরা সংসদ সদস্যের জন্য নীলকণ্ঠ পুরষ্কারে ভূষিত হন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া, তিনি ওড়িশা থেকে প্রথম নারী আদিবাসী যিনি ভারতীয় রাজ্যের গভর্নর নিযুক্ত হন।
ভারতে রাষ্ট্রপতি পদটি অনেকটা অলঙ্কারিক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ হলেও দেশ পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির তেমন কোনো ভূমিকা নেই। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের (লোকসভা এবং রাজ্যসভা) সদস্য, দেশটির সবগুলো রাজ্যের বিধানসভার সদস্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের ভোটে ভারতে একজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।