শিরোনাম
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ৫ মাস হয়ে গেল, কিন্তু এখন পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই।
একের পর এক অঞ্চল দখল করে নিচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও রুশপন্থী যোদ্ধারা। খবর আনাদোলুর।
এ অবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। তাই এবার তারা তাদের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে নেমেছেন।
দেশটির দোকানদার, গাড়ি চালক ও শিক্ষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন দেশকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় এ যুদ্ধে নেমেছেন।
তারা এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে পর্যন্ত নেমে পড়েছেন। দেশটির খেরসন অঞ্চলটি রাশিয়ার কাছ দখলমুক্ত করতে এসব স্বেচ্ছাসেবক যুদ্ধারা প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদের মধ্যে একজন হলেন ৪৯ বছর বয়স্ক গাড়ি চালক ভালোদিয়া। তিনি যুদ্ধেক্ষেত্রে সেনাদের জন্য খাবার রান্না করে সহায্য করছেন।
তার মতো আরও অনেক স্বেচ্ছাসেবক এখন দেশ বাঁচাতে যুদ্ধে নেমেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আগে গাড়ি চালাতাম, এখন আমার পরিচয় যোদ্ধা হিসেবে। আমি দেশের জন্য লড়তে পেরে অনেক খুশি।
সম্মুখ যোদ্ধাদের জন্য খাবার রান্না করা এখন আমার কাজ। আমি যথাযথ ভাবে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
যুদ্ধক্ষেত্রে একেক জনের ভিন্ন ভিন্ন কাজ থাকে, আমার কাজ সেনাদের জন্য রান্না করা। এটাও যুদ্ধেরই অংশ।
সবাই আমার খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট। সেনারা আমার আমার রান্না করা খাবার বেশ মজা করে খান এবং রান্নার প্রশংসা করেন।
ভালোদিয়া জানান, ভোর ৬টায় তার কাজ শুরু হয়। সকালে প্রথমে তিনি সব সেনাকে কফি খাওয়ান। তার পর তিনি তাদের জন্য নাস্তা তৈরি করেন।
তিনি আরও বলেন, এভাবে দুপুর এবং রাতের খাবারও আমি তাদের জন্য রান্না করি। সেনাবাহিনী এখন প্রধান সমস্য খাবারের অপ্রতুলতা। আমি তাদের জন্য বেশির ভাগ সময় আলু ও মাংশ দিয়ে স্যুপ রান্না করে থাকি।
এভাবে অনেকে স্বেচ্ছায় যুদ্ধে নেমেছেন। সহায়তা করছেন সম্মুখ যোদ্ধাদের।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন কিয়েভকে আমাদের সঙ্গে আলোচনার কথা ভাবতেও নিষেধ করছে এবং স্পষ্টতই শেষ ইউক্রেনীয় পর্যন্ত যুদ্ধ করতে বাধ্য করবে তারা।
ইস্তাম্বুলে তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে গেলে এপ্রিলের শুরু থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।
রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করে থাকা অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ‘কোনো অর্থই হয় না’।