শিরোনাম
করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ফের মৃত্যু বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে মারা গেছেন ৭ হাজারের বেশি মানুষ। অথচ এর আগের দিন মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) মারা গিয়েছিলেন পাঁচ হাজারের কিছু বেশি। আর নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখের বেশি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ৭ হাজার ৪৫৬ জন। আর একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৮১৬ জনে। এছাড়া নতুন করে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৩ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৯ জনের। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে ২১ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৮৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৮১১ জন। মারা গেছেন ১ হাজার ৮১১ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ২০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭২৮ জন।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৩৮০ জনে। আর মারা গেছেন ২৮৫ জন। ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৮ জন।
তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা মোট ২ কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭১ জন। আর সেরে উঠেছেন দুই কোটি চার লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৫ জন।
তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, স্পেন, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৬১৪ জন। আর ১৫ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।
এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু করেছে।