শিরোনাম
অর্থনৈতিক সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে বেলারুশ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তাদের বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা সত্ত্বেও এই সীমাবদ্ধতা দেশকে ঋণ খেলাপি হওয়ার পথে ধাবিত করছে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত ২৯ জুন বেলারুশ সরকার ২০২৭ ইউরোবন্ডের কুপন পরিশোধে ব্যর্থ হয়। ১৪ দিনের গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সোমবার বৈশ্বিক রেটিং এজেন্সি ফিচ দেশটির দীর্ঘমেয়াদী বৈদেশিক মুদ্রার রেটিং ‘সি’ থেকে ‘রেস্ট্রিকটেড ডিফল্ট’-এ নামিয়ে দেয়।
এর আগে গত ১ জুলাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বেলারুশের ওপর নজিরবিহীন রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও বেলারুশকে একত্রীকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে পশ্চিমারা। বেলারুশে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান পুতিন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকেই বেলারুশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পেয়েছে মস্কো। দেশটিতে মহড়া চালাতে পর্যন্ত দেখা গেছে রুশ বাহিনীকে। কিয়েভের অভিযোগ, রুশ সেনারা বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে। গত মাসেও রাশিয়া কর্তৃক বেলারুশ থেকে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে বিমান হামলার অভিযোগ করে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশজুড়ে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার বোমারু বিমান সরাসরি বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসে এসব হামলা চালিয়েছে। ছয়টি যুদ্ধবিমান থেকে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে কিয়েভ, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে।