শিরোনাম
শ্রীলঙ্কার জনগণকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গোতাবায়া রাজাপাকসে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় দেশটির পার্লামেন্টে আজ (বুধবার) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নতুন নেতা ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বের করে আনতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, সাবেক সাংবাদিক ডালাস আলাহাপেরুমা এবং বামপন্থী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা পার্টির নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়াকা৷
৪৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ত্রিদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট।
রাজাপাকসে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। সে সময় প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও অফিস দখল করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাড়িও পুড়িয়ে দেয় এবং তার অফিসে হামলা চালায়। কিন্তু তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়। তাই বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের আরও বিক্ষোভ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শাসক দলের আইনপ্রণেতা ও সাবেক সাংবাদিক দুল্লাস আলাহাপেরুমা বিক্ষোভকারীদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
অপর প্রার্থী অনুরা কুমারা দিসানায়াকা বামপন্থী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা দলের নেতা। পার্লামেন্টে মাত্র তিনটি আসনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তার দল। নির্বাচনে তার জয়ের তেমন সম্ভাবনা নেই।
শ্রীলঙ্কায় আজকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি বিরল ঘটনা ঘটবে, কারণ এতে পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচন দেবেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ইতিহাসে কখনোই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেয়নি পার্লামেন্ট।
১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট রানাসিংহে প্রেমাদাসাকে হত্যা করা হলে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদটি মধ্য মেয়াদে শূন্য হয়। সে সময় পার্লামেন্টে প্রেমাদাসার মেয়াদের জন্য ডি বি উইজেতুঙ্গাকে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করা হয়েছিল।
নতুন প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজাপাকসের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। পার্লামেন্টে বৈধ ভোটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি পাওয়া প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। যদি কোনো প্রার্থী তা না পায়, তাহলে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া একজনকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী চূড়ান্তে আইন প্রণেতাদের পছন্দকেই বিবেচনায় নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে আগামী ছয় মাসে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।