নতুন আতঙ্ক মারবার্গ ভাইরাস, ঘানায় ২ জনের মৃত্যু

ফানাম নিউজ
  ১৯ জুলাই ২০২২, ০৮:৫৭

গত দুই বছর ধরে গোটা দুনিয়া করোনা ভাইরাসে নাকাল। এর মধ্যে কিছুদিন আগে হানা দেয় মাংকিপক্স। এখন মারবার্গ ভাইরাস নামে আরেক অতিসংক্রামক প্রাণঘাতী ভাইরাসের কথা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পশ্চিম আফ্রিকার ঘানা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

সিএনএন জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় আশান্তি এলাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরবার্গ ভাইরাসে শনাক্ত ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৯০ জনের বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ডব্লিউএইচও'র তথ্য মতে, এ ভাইরাসে আক্রান্তদের ডায়রিয়া, জ্বর, বমি বমি ভাব এবং বমির উপসর্গ দেখা দেয়। এটি রক্তক্ষরণজনিত জ্বর, যা ইবোলা ভাইরাস রোগের মতো এবং এতে মৃত্যুর হার ৮৮% পর্যন্ত।

ডব্লিউএইচও বলছে, 'এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ অসুস্থতা শুরু হয়, তীব্র জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা দেখা যায়'।

ভাইরাসটি বাদুড় থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। পরে সংক্রমিত ব্যক্তির থুতু বা অন্য তরল থেকে ভাইরাসটি মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানায় ডব্লিউএইচও। 

এখন পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসের জন্য কোনও অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত রোগীকে মুখে বা শিরায় স্যালাইন দিয়ে এবং লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা যেতে পারে। 

ঘানার স্বাস্থ্য বিভাগ জনসাধারণকে বাদুড়ের বিচরণ এলাকা এড়িয়ে চলতে এবং ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে সব ধরনের মাংসজাতীয় খাবার ভালোভাবে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ফল খাওয়া বাদুড় মারবার্গ ভাইরাসের প্রাকৃতিক আমন্ত্রক। 

পশ্চিম আফ্রিকায় দ্বিতীয়বারের মতো এই মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হলো। গিনিতে গত বছর একজন শনাক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু শনাক্তের পাঁচ সপ্তাহ পর সেপ্টেম্বরে সংক্রমণ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।

এর আগে অ্যাঙ্গোলা, ডিআর কঙ্গো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও উগান্ডাতে এই ভাইরাসে সংক্রমণ ও বিচ্ছিন্ন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। তাদের তথ্য অনুসারে, ২০০৫ সালে অ্যাঙ্গোলাতে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণে।

প্রথম মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল জার্মানিতে ১৯৬৭ সালে। ওই সময় সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল।