শিরোনাম
ইউরোপের তিনটি দেশ পর্তুগাল, স্পেন ও ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী। কিন্তু দাবানল কমার কোনো লক্ষণ নেই।
রোববার (১৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পর্তুগালের উত্তরাঞ্চলে স্প্যানিশ সীমান্তের কাছে ফোজ কোয়া এলাকায় পানি নিক্ষেপকারী বিমান বিধ্বস্ত হলে একজন পাইলট মারা গেছনে।
পর্তুগিজ কর্তৃপক্ষ বলছে, গত সপ্তাহে গরমে অন্তত ২৩৮ জন মারা গেছে।
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিম গিরোন্ড অঞ্চলে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে ১২ হাজারেরও বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে দাবানল আরও ঘন ঘন, আরও তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। শিল্পযুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর ইতোমধ্যেই প্রায় ১ দশমিক ১ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার কার্বন নির্গমন হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকবে।
ফরাসি আবহাওয়া সার্ভিস রোববার দেশটির দক্ষিণের কিছু অংশে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছে এবং সোমবারের জন্য নতুন রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শনিবারের শেষের দিকে দেশটির আরও ২২টি আঞ্চলিক বিভাগগুলোর বেশির ভাগেই উচ্চ অরেঞ্জ সতর্কতায় জারি করে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, আগুনে এ পর্যন্ত ১০ হাজার হেক্টর বা ২৫ হাজার একর জমি পুড়ে গেছে। তিনি দমকলকর্মীদের ‘সাহসিকতার’ প্রশংসা করেন।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে পর্তুগালে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং স্পেনে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছেছে। এতে গ্রামাঞ্চল দাবানলে জ্বলছে।
পর্তুগিজ আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারা বলেন, আগামী সপ্তাহে কমার আগে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকবে।
পর্তুগালের আগুন বেশি জ্বলছে পোর্তো শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। দাবানলে এ বছর দেশটির ৩০ জাহার হেক্টর বা ৭৫ হাজার একর জমি ধ্বংস করেছে। ২০১৭ সালে পর্তুগাল বিধ্বংসী দাবানলের শিকার হয়েছিল, যাতে প্রায় ১০০ জন মারা গিয়েছিল।
এদিকে, ইতালিতে সরকার পো উপত্যকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দীর্ঘতম নদীত কিছু জায়গায় সামান্য পরিমাণ পানি রয়েছে।
গ্রীসে, দমকলকর্মীরা এথেন্সের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং ক্রিটের উত্তর উপকূলে রেথিমনোর কাছে ফেরিজা এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে। রেথিমনোর কাছে সাতটি গ্রামের লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর মরক্কোতে, লারাচে, ওয়েজানে, তাজা এবং তেতুয়ান প্রদেশে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম খালি করতে হয়। কাসার এল কেবির এলাকায় একটি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আগুনে অন্তত একজন মারা গেছে।
সূত্র : বিবিসি