শিরোনাম
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, জেদ্দায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে ‘আরব ন্যাটো’ গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, রিয়াদ তেহরানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। খবর সৌদি গ্যাজেটের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতিতে শনিবার বিকেলে সৌদি আরব, ইরাক, জর্দান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত এবং ওমানের শীর্ষ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ শীর্ষ সম্মেলনের নাম দেয়া হয় ‘জেদ্দা নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সম্মেলন’। জো বাইডেন ইহুদিবাদী ইসরাইল সফর শেষে শুক্রবার জেদ্দায় পৌঁছান। তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে পশ্চিমা গণমাধ্যম একথা ফলাও করে প্রচার করেছিল যে, এই সফরে ইসরাইলকে অন্তর্ভুক্ত করে আরব দেশগুলোকে নিয়ে ইরানবিরোধী একটি সামরিক জোট গঠন করে দেবেন বাইডেন।
পরিকল্পিত সামরিক জোটকে ‘আরব ন্যাটো’ বলেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কয়েকটি আরব দেশের বিরোধিতার মুখে সে ধরনের কোনো জোট গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়নি।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার এক বক্তব্যে বলেছেন, সৌদি আরব ইরানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছে এবং রিয়াদ তেহরানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।
ফয়সাল বিন ফারহান আরও বলেন, ইরানের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ ইতিবাচক গতিতে অগ্রসর হলেও এখনও চূড়ান্ত ফল আসেনি। তবে শিগগিরই এ ব্যাপারে ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কূটনীতিকে তিনি সর্বোৎকৃষ্ট ও একমাত্র পথ বলে মন্তব্য করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, জেদ্দা সম্মেলন তো দূরের কথা এর আগেও কখনও ইসরাইলের সঙ্গে সামরিক বা প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আগ্রহ দেখায়নি সৌদি আরব।
ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, আরব ন্যাটো নামের কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। আমি জানি না এই নামটি কোথা থেকে এসেছে।