শিরোনাম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার প্রিন্স সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সৌদি-মার্কিন সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেন বলে জানিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রিন্স সালমান তার কাছে বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জামাল খাসোগির হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।
প্রিন্স সালমান এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বাইডেনের কাছে প্রিন্স সালমান যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভুলের বিষয়টি তুলে ধরেন বলে আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেরও ভুল হয় উল্লেখ করে প্রিন্স সালমান বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে’। এসময় তিনি ইরাকের আবু গারিব কারাগারে বন্দি নির্যাতনসহ ওয়াশিংটনের ‘বেশ কয়েকটি ভুলের’ বিষয় তুলে ধরেন।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল-আরবিয়া এক সৌদি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাইডেন ও প্রিন্স সালমান ‘জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন’ এবং প্রিন্স সালমান ‘নিশ্চিত করেছেন যে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক এবং আমরা এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার জন্য সব আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি’।
২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি আরবের দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সৌদি হিট স্কোয়াডের সদস্যরা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও রিপোর্ট দেওয়া হয় প্রিন্স সালমান খাগোসিকে হত্যার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রিপোর্ট প্রকাশের পর বাইডেন বলেছিলেন, সৌদি আরবকে একটি একঘরে রাষ্ট্র করে দেবেন তারা।
তবে সবকিছু ভুলে সৌদি সফরে গেছেন জো বাইডেন নিজে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রিন্স সালমান তার কাছে বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে জামাল খাসোগির হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।
এ ব্যাপারে বাইডেন বলেন, আমি সরাসরি বলেছি।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমরা কারা, আমি কি সে হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চুপ থাকা ঠিক নয়। আমি সব সময় আমাদের মান বজায় রাখব।
তিনি আরও বলেন, প্রিন্স সালমান বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত নন।তবে আমি তাকে জানিয়েছি, আমি মনে করি তিনি জড়িত।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মুষ্টি মেলান। তাদের এ ছবি প্রকাশের পর জামাল খাসোগির কর্মস্থল ওয়াশিংটন পোস্ট ও তার বাগদত্তা তীব্র সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতেই সৌদি আরবের সঙ্গে আবার সম্পর্ক উন্নয়ন করছেন তারা।