শিরোনাম
গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগের পর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
নিউজ ফার্স্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তিনি প্রেসিডেন্টকে সম্বোধনের জন্য ‘মহামান্য’ শব্দটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন এবং প্রেসিডেন্টের পতাকাও বিলুপ্ত করেছেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে রনিল বলেন, ‘ব্যক্তিকে রক্ষার পরিবর্তে দেশকে রক্ষা করুন।’
তিনি ভাষণে বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের পতাকা বিলুপ্ত করা হবে, কারণ দেশকে কেবল একটি পতাকা ঘিরেই জড়ো হতে হবে, যা জাতীয় পতাকা। আমি কখনোই কোনো অসাংবিধানিক কাজে সহায়তা করব না।’
তিনি তার ভাষণে রাজনীতিবিদদেরও উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সরিয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দাবি করেন, কিছু ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী দেশটিতে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তারা আন্দোলনের নামে সেনাদের অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
শুক্রবার রনিলকে শপথ বাক্য পড়ান শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া।
ভয়াবহ অর্থসংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বলতে কিছুই নেই। ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি পণ্যও আমদানি করতে পারছে না দেশটি।
চলতি বছর মার্চ থেকেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড়ভাই ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের চাপে গত মে মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
বড় ভাই পদত্যাগ করলেও এতদিন গোতাবায়া তার পদ আঁকড়ে ছিলেন। জনবিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গত ৯ জুলাই আত্মগোপন করেন তিনি। তারপর ১৩ জুলাই গোপনে সামরিক বাহিনীর বিমানে মালদ্বীপে হয়ে সিঙ্গাপুরে চলে যান। এরপর সেখান থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।