শেরিল স্যান্ডবার্গ: সফলতা ও বিতর্ক যাঁর সঙ্গী

ফানাম নিউজ
  ১৫ জুলাই ২০২২, ১৩:৩২

প্রযুক্তিবিশ্বে এক দশকের বেশি সময় ধরে পরিচিত নাম শেরিল স্যান্ডবার্গ। ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হিসেবেই তাঁকে চেনেন অনেকে। ২০১২ সালেই টাইম সাময়িকীর করা বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় ছিল তাঁর নাম। গত এক দশকে তাঁর নেতৃত্বে ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান আরও বড় হয়েছে। সর্বশেষ ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে রাখা হয়েছে মেটা। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন শেরিল। এই শরতেই তিনি বিদায় নেবেন। বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১৪ বছর ধরে নিজের কর্মদক্ষতায় হয়ে উঠেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব। কেমন ছিল শেরিলের এই পথচলা? 

ফেসবুকের মতো একটি বিশাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সামলানো ও নানা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেরিলের পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। তাঁর সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপ্তি যেমন খুব দ্রুত বেড়েছে, তেমনি তাঁকে নানা বিতর্কের মুখোমুখিও হতে হয়েছে। তাঁকে বলা হতো জাকারবার্গের ডান হাত। তাঁর পরামর্শ ছাড়া জাকারবার্গ এক পা-ও নড়তেন না, সিদ্ধান্ত নিতেন না। শেরিলও জাকারবার্গের পাশে বসে কাজের এ অভিজ্ঞতায় নিজেকে সম্মানিত বোধ করতেন। 

শেরিল সম্পর্কে বিশ্লেষকেরা বলেন, খুব কড়া মানুষ শেরিল। কঠোরভাবে নিয়ম মেনে চলেন। প্রতিটি কাজ বিশ্লেষণ করেন, আলোচনা করেন খুঁটিনাটি ধরে। ফেসবুকের পাশাপাশি ‘লিন ইন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। ‘লিন ইন’ নামে তিনি একটি বইও লিখেছেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আরও বেশি নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে সোচ্চার থেকেছেন বরাবর। কিন্তু নিজের প্রতিষ্ঠানে এ নিয়ম মানার ক্ষেত্রে তিনি কতটুকু সফল, সে প্রশ্ন বারবার উঠেছে। ‘লিন ইন’ বইটি প্রকাশের পর করপোরেট জগতের নারীদের কাছে তিনি বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

শেরিলকে নিয়ে বিতর্ক

ফেসবুকে শেরিলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৮ সালের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি সামলানো। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা বিতর্কের সময় স্যান্ডবার্গ ফেসবুকের নীতিনির্ধারণী বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ফেসবুক থেকে অনৈতিকভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ওই সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সরবরাহের অভিযোগ ওঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ঘিরে তদন্তের দাবি ওঠে। গত মার্কিন নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে যে ভাঙচুর ও হামলা হয়েছিল, তার পেছনে শেরিল তথা ফেসবুকের কিছুটা ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, শেরিল চাইলেই এ অপমানজনক হামলা রুখতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে হাজির হতে হয় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে। শুধু এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন বেশ কিছু ফেসবুকের নথি ফাঁস করেছেন। ওই নথিতে ফেসবুকের নিকৃষ্ট প্রভাবগুলোর কিছু প্রকাশ পেয়েছে। আর এর সঙ্গে একটি নামও উঠে আসে। তিনি আর কেউ নন, শেরিল।

ফ্রান্সেস হাউগেন অভিযোগ তোলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবহারকারীদের ঘৃণ্য বক্তব্যকে নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি, ফলে তা আরও ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে যে দলটি কাজ করে, সেখানেও পর্যাপ্ত লোকবল ছিল না। তাদের মূল নজর শুধু মুনাফার দিকে ছিল। 

মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হয়ে ফেসবুকের সাবেক কর্মী হাউগেন প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে লুকিয়ে থাকা সব ধরনের শঠতা ও নোংরামির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বিশ্বের সামনে হাউগেন বললেন, ২৭০ কোটির বেশি ব্যবহারকারীর এ সাইট মানুষের মধ্যে জেনেবুঝে বাজে খাদ্যাভ্যাসকে প্রচার করছে। এ ছাড়া গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। নথিতে একটি অভ্যন্তরীণ গবেষণার কথাও ফাঁস করেন হাউগেন। গবেষণায় দেখা গেছে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এ প্ল্যাটফর্মের গুরুতর প্রভাব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ফেসবুক।

এসব নথি প্রকাশের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কিন্তু শেরিল ও জাকারবার্গ এ বিষয়ে নিজেদের আড়ালে রেখে প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ এবং ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরিকে এর দাপ্তরিক প্রতিক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেন। 

ফেসবুক নিয়ে কর্মকাণ্ডের জন্য শেরিল বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনার শিকার হচ্ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি সমালোচনা নিতে পারেন না। সম্প্রতি আরেকটি বিষয় সামনে আসে, তিনি ডেইলি মেইলকে তাঁর বন্ধু অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ডের সিইও ববি কোটিক সম্পর্কে অপ্রীতিকর খবর বাদ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তবে মেটার একজন মুখপাত্র ক্যারোলিন নোলান এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এর সঙ্গে শেরিলের কোম্পানি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। ২০১৫ সালে স্বামী হারানো শেরিল আসছে গ্রীষ্মে আবারও বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন।

শেরিলের নারী নেতৃত্ব যখন প্রশ্নের মুখে

ফেসবুক নারীদের জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেনি। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও নারীদের সম–অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি তিনি। কেলেঙ্কারির নানা ঘটনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলেন অধিকারকর্মীরা। এমনকি একজন নারী অধিকারবিষয়ক নেতা হিসেবে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নারী অধিকার গ্রুপ আলট্রাভায়োলেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা শাওনা থমাস বলেন, স্যান্ডবার্গের নজরদারির মধ্যেই মেটা প্ল্যাটফর্মগুলো ‘একটি ডানপন্থীদের খেলার মাঠ হয়ে উঠেছে যেখানে দুর্ব্যবহার, বর্ণবাদ, বিভ্রান্তি’ ছড়িয়ে পড়েছে।

থমাস বলেন, ‘শেরিল স্যান্ডবার্গ নিজেকে একজন নারীবাদী ভাবতে পারেন, কিন্তু মেটাতে তাঁর সিদ্ধান্তগুলো সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোকে নারী, বিভিন্ন বর্ণ-গোত্রের মানুষ এবং আমেরিকান নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য অনিরাপদ করে তুলেছে। ১৪ বছর ধরে এসব ক্ষেত্রে তাঁর ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।’

শেরিল স্যান্ডবার্গ ২০০৮ যখন ফেসবুকে যোগ দেন, তখন জাকারবার্গের বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। এরপর থেকে স্যান্ডবার্গ প্রতিষ্ঠানের দক্ষ জনবল তৈরি ও একটি ছোট্ট স্টার্টআপকে বাস্তবে রূপ দিতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ব্যবসার স্থপতি বলা হয় শেরিলকে। যাঁর অবদানের ফলে আজ বিশ্বব্যপী কনটেন্ট ক্রিয়েটররা আয়ের সুযোগ পেয়েছেন। তিনি যখন কাজ শুরু করেন, তখন কোম্পানিটির বার্ষিক আয় ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০২১ সালে সে আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭ বিলিয়ন ডলার।

ফেসবুক পোস্টে নিজের মেটা ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘২০০৮ সালে ফেসবুকে যোগ দেওয়ার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কাজ করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু ১৪ বছর কাজ করার পর এখন জীবনের পরবর্তী অধ্যায় নিয়ে কিছু করার সময় হয়েছে।’

পদত্যাগের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্স-এর বিশ্লেষক ডেবরা উইলিয়ামসন বলেন, যদিও কেলেঙ্কারির এ ঘটনাগুলো ফেসবুকের ব্যবসা ও পুরো সামাজিক গণমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তবু তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, মেটাকে ঘিরে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু সত্যিকারভাবে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে শেরিল ফেসবুককে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, তা বেশ শক্তিশালী। ইতিহাসে তা লেখা থাকবে।

একই সুরে কথা বলেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক স্কট গ্যালোওয়ে বলেন, কেবল তাঁর ব্যবসায়িক অর্জনের জন্যই নয়, বরং তাঁর সময়কালে প্রতিষ্ঠানের জন্য তাঁকে একজন পাবলিক ফিগার হিসেবেও স্মরণ করা হবে।

কিন্তু গ্যালোওয়ে শেরিলের কিছুটা সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর প্রাথমিক ভূমিকা ছিল সবচেয়ে কার্যকর। তাঁর নেওয়া পদক্ষেপগুলো ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও সবার কাছে তা প্রশংসনীয় হয়েছে। তারপরও তাঁর মাধ্যমে ফেসবুকের যে উদ্ভাবন, তাকে আমি বলি গণবিভ্রান্তির পারমাণবিক অস্ত্র।’

এদিকে ঘৃণ্য বক্তব্যের ওপর নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া ম্যাটারস ফর আমেরিকার মতে, শেরিলের প্রস্থানের পর কংগ্রেসনাল অনুসন্ধান এবং জনরোষের মূলে থাকা বিষয়গুলোর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক বিবৃতিতে গ্রুপটি জানিয়েছে, ‘কল্পনা করা কঠিন, তবে ফেসবুক আরও খারাপ, আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে।’

তদন্তের মুখে শেরিল

শেরিল স্যান্ডবার্গ পদ ছাড়লেও মেটার পরিচালনা পর্ষদে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বলেছেন নিজের গড়ে তোলা ‘স্যান্ডবার্গ ফাউন্ডেশন’ ও জনহিতকর কাজে সময় দেবেন বেশি। তবে ঘর ছাড়ার পর এরই মধ্যে মিডিয়া ম্যাটারসের আশঙ্কার সত্যতা মিলেছে। গত কয়েক বছরে তাঁর কার্যক্রম নিয়ে তদন্তে নেমেছেন মেটার আইনজীবীরা। পদে থাকাকালে শেরিল স্যান্ডবার্গ নিজের কাজে মেটার কোনো সুবিধার অপব্যবহার করেছেন কি না, সেটি যাচাই করে দেখছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এ তথ্য জানায়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে স্যান্ডবার্গ বিষয়ে নিজেদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেটা। গত শরৎ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

শেরিলহীন মেটা সামনে কোন দিকে যাবে

মেটা যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবসা বিস্তৃতির চেয়ে মেটাভার্সের ভার্চ্যুয়াল জগতের দিকে রূপান্তরিত হচ্ছে, ঠিক তখনই শেরিল স্যান্ডবার্গের এ পদত্যাগের ঘোষণা এল। ২০২১ সালের অক্টোবরে ফেসবুক তাদের মূল প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে মেটা। তিনি আগামী বছরজুড়ে এ খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। মেটাভার্স এমন ত্রিমাত্রিক ভার্চ্যুয়াল দুনিয়া, যেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন। প্রত্যেকের ত্রিমাত্রিক আভাটার বা অবতারের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় পারস্পরিক যোগাযোগ হয়ে থাকে।

ইনসাইডার ইন্টেলিজেন্স-এর বিশ্লেষক ডেবরা উইলিয়ামসন বলেন, অ্যাপল তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতিমালা গ্রহণ করলে ফেসবুক তার বিজ্ঞাপনী ব্যবস্থাকে কেন্দ্র থেকে কোম্পানির রাজস্ব এক মডেলে নিয়ে যায়। এরপরই এই মেটাভার্সের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর এ কোম্পানির রাজস্ব মডেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল শেরিল স্যান্ডবার্গ।

শেরিলের পদত্যাগের পর জাকারবার্গ একটি নতুন কনটেন্ট দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর বেশি জোর দেবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞ মডারেটর হিসেবে আরও অনেক বেশি জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

ডেবরা বলেন, ‘এটি একটি যুগের পরিসমাপ্তি, সম্ভবত উপযুক্ত কারণে শেরিল পদত্যাগের জন্য এই সময়টাকে বেছে নিয়েছেন। ফেসবুককে নতুন করে বিজ্ঞাপন ও ব্যবসা অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, আর এটি বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।’

শেরিল সরে গেলে মেটার পক্ষ থেকে সামনের সারি থেকে উঠে আসতে পারেন অনেকেই। আর এদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন হেড অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স নিক ক্লেগ এবং ইনস্টাগ্রামের সিইও কেভিন সিস্ট্রোম।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অবলম্বনে লিপি রানী সাহা