শিরোনাম
মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন পাঞ্জাবি গায়ক দালের মেহেন্দি। এই গায়কের দুই বছর জেলের সাজা শোনালেন পাতিয়ালা কোর্ট। ২০১৮ সালে এ মামলাতেই পাতিয়ালা কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান ‘জিয়ো রে বাহুবলী’র গায়ক। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেই বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায় পাঞ্জাবি গায়কের আবেদন। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়।
২০০৩ সালে দুই ভাই দালের মেহেন্দি ও শামশের মেহেন্দির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদেশে মানব পাচারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। ১৫ বছর পর দালের মেহেন্দি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ১২০বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেন নিম্ন আদালত। এদিন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এইচ এস গেরেওয়াল নিম্ন আদালতের এ রায় বহাল রাখেন।
বিদেশে শো করার নাম করে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে একাধিক মানুষকে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছিলেন এই দুজন। নিজেদের গানের দলের সদস্য বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে সেখানেই রেখে আসতেন দুই ভাই। এরপর পাতিয়ালা পুলিশ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনে। তখন এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরও প্রায় ৩৫ জন প্রতারণার অভিযোগ আনেন। এর মধ্যে পাঞ্জাবের বালভেরা গ্রামের বাসিন্দা বকশিস সিং নামের এক ব্যক্তি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, কানাডায় পাঠানোর নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন দালের ও তাঁর ভাই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে ১৯ বছর পর মামলা জিতে জয়ের চওড়া হাসি বকশিস সিংয়ের মুখে। তিনি জানান, এত বছর ধরে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে সুবিচার পেতে। তবে এখানেই থামতে চান না বকশিস, দালের মেহেন্দির সাজার মেয়াদ বাড়াতে উচ্চ আদালতে আপিল জানাবেন তিনি।
‘বল তারা না না’, ‘হো জায়িগি বাল্লে বাল্লে’ বা ‘দারদি রাব কারদি’ গানগুলো শুনলেই চোখে ভাসে চিরচেনা ঢঙে নৃত্যরত গায়ক দালের মেহেন্দির কথা। সেই কবে গানগুলো গেয়েছেন, এখনো মুখে মুখে গানগুলো। ১৯৬৭ সালের ১৮ আগস্ট পাটনায় জন্ম হয় এই গায়কের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অসংখ্য হিট গান রয়েছে তাঁর। দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশেও তিনি সমান জনপ্রিয়। গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। ২০১৯ সালে যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।