শিরোনাম
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে নির্ধারিত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দেশটির উদ্দেশ্যে রওনা হননি। তবে এ ফ্লাইটের পরিবর্তে তিনি এখন ব্যক্তিগত বিমানে (প্রাইভেট জেট) সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
মালদ্বীপের সূত্র জানিয়েছে, রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী লোমা রাজাপাকসে এবং তাদের সাথে থাকা দুই দেহরক্ষী বুধবার রাতে এসকিউ৪৩৭ বিমানযোগে সিঙ্গাপুর রওনা হবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু তারা নিরাপত্তাগত কারণে বিমানে চড়েননি।
একটি সূত্র জানায়, মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য এখন একটি প্রাইভেট বিমান নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার জন্য পার্লামেন্টের স্পিকারের প্রতি অনুরোধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য স্পিকার মহিন্দা যাপা আবেবর্ধনেকে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে পদত্যাগ করার জন্য বিক্রমাসিংহের ওপর চাপ বাড়ছে।
এদিকে মালদ্বীপে রাজাপাকসের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ওঠেছে। দেশটির বিরোধী দলের নেতা দুনিয়া মামুন (সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের মেয়ে) গোতাবায়কে নিরাপদে পালিয়ে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা রাজাপাকসের এখানে উপস্থিতি নিয়ে অবশ্যই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, গোতাবায়ার উচিত ছিল দেশে থেকেই তার কাজের পরিণাম ভোগ করা। আমি বলছি না যে তিনি তার সব কাজের জন্য দায়ী। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটে তার ভূমিকা ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত আমি কাউকে দোষী বলতেও নারাজ।
অবশ্য মালদ্বীপের কেউ কেউ গোতাবায়াকে আশ্রয় দেয়ার পক্ষেও কথা বলেছেন। তারা বলছেন, সাবেক সরকারের আমলে তাদেরও শ্রীলঙ্কায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল।
সূত্র : ডেইলি মিরর শ্রীলঙ্কা, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য