কিছু সম্প্রদায়ের জন্মহার অনেক বেশি : যোগী আদিত্যনাথ

ফানাম নিউজ
  ১২ জুলাই ২০২২, ১০:০১

নির্দিষ্টভাবে কোনো ধর্মের কথা উল্লেখ না করেই ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কিছু সম্প্রদায়ের জন্ম হার অনেক বেশি।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে নানা ধর্মে ভারসাম্যের অভাব দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জনসংখ্যার ভারসাম্য কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া উচিত হবে না উল্লেখ করে যোগী বলেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে প্রচারমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, তা সুষ্ঠু ভাবে সফল হওয়া জরুরি।

জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশে সোমবার শুরু হয়েছে ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পক্ষ’ কর্মসূচি। এর সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যোগী বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য না থাকলে তা দেশে অশান্তি ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে পারে।’

এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। যোগী বলেন, ‘জনসংখ্যায় ভারসাম্যহীনতা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা যখন পরিবারের কথা বলি, তখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, তা হওয়া উচিত নয়। কিছু সম্প্রদায়ের জন্ম হার অনেক বেশি। সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করা ভীষণই জরুরি।’

যোগী জানান, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ২৪ কোটির মতো। কিছুদিনের মধ্যেই তা ২৫ কোটি ছাড়াবে। এই পরিস্থিতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি জনসংখ্যার স্থিতিশীলতার কথা বলি, তা হলে জাতি, ধর্ম, অঞ্চল, ভাষার ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে সচেতনতা কর্মসূচিতে যোগ দিতে হবে।’

গত এপ্রিলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে সংঘ পরিবারের সঙ্গে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। সেই সময় রাজ্যসভায় সরকারের চাপে বাধ্য হয়েই সংঘ-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাকেশ সিন্‌হা তার‌ আনা ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৯’ প্রত্যাহার করে নেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোনো বিল আনার কথা ভাবছে না সরকার। এবার সেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের পক্ষেই বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

এবার নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের প্রসঙ্গ না আসলেও উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতারা মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এমনকি ২০১৭ সালে এই বিষয়ে ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্যের কারণে নির্বাচন কমিশন বিজেপির সাক্ষি মহারাজকে নোটিশ পাঠায়।