শিরোনাম
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না বরিস জনসন। যদিও এরই মধ্য তার মন্ত্রিসভায় পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। দেশটির এক সিনিয়র কর্মকর্তার যৌন অসদাচরণকে কেন্দ্র করে এ সংকট দেখা দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পদত্যাগের বিষয়ে জনসন বলেছেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। তাই আমি পদত্যাগ করবো না। তাছাড়া আমার প্রতি অনেক বড় ম্যানডেট তো রয়েছেই।
এর আগে কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা ডেভিড ড্যাভিস ৫৮ বছর বয়সী নেতা জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশকে আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
এর বিপরীতে জনসন বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি না যে, প্রধানমন্ত্রী পদে থাকলে সেটা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী হবে। তবে আমি তার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।
তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।