শিরোনাম
পাকিস্তানে জ্বালানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি হিমশিম খাচ্ছে আমদানি খরচ মেটাতে। কারণ এরই মধ্যে বিশ্ব বাজারে এলএনজির দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও এলএনজি পেতে কাতার যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর আগে দোহা সফর করেছেন দেশটির সামরিক প্রধান।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পিএমএলএনের একজন নেতা জানান, উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের পর অর্থাৎ দুই এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে যাবেন।
এর আগে কাতার জানায়, প্রচলিত চুক্তির আওতায় এলএনজি সরবরাহ করার মতো অবস্থা নেই, কারণ দোহা ইউরোপের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এরই মধ্যে ইউরোপে গ্যাস সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কারণ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে পুতিন প্রশাসন।
২০২১ সালে দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি জ্বালানি চুক্তি হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাকিস্তানের সেনা কর্তৃপক্ষ। যদিও সে সময় ক্ষমতায় ছিলেন ইমরান খান। তাছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিএমএলএন সরকার কাতারের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি করে।
তবে এ সব চুক্তির আওতায় বর্তমানে যে এলএনজি পাকিস্তানে আসে তা দেশটির জন্য যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানকে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪টি স্পট এলএনজি কার্গো সংগ্রহের জন্য দরপত্র জারি করতে হয়।