শিরোনাম
তানজানিয়ার কফির সুনাম রয়েছে পৃথিবীজুড়ে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কিলিমাঞ্জারো অঞ্চলের কফি চাষিরা, এতে তাদের আয় ও জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তানজানিয়া কফি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক ড্যামিয়ান এমটেগা বলেন, মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর আশেপাশে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাবে কফি উৎপাদন কমে গেছে ৭৫ শতাংশ।
তানজানিয়া আফ্রিকা মহাদেশে তৃতীয় বৃহত্তম কফি উৎপাদক। দেশটিতে বার্ষিক গড়ে ৪০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়ে থাকে কফি। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বছরে ১৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ আয় হয়।
মেটগার তথ্যঅনুসারে, লাভজনক কফির ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয়ে তানজানিয়ায়। কিন্তু অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে। আরবিকা জাতের কফির জন্য হালকা বৃষ্টি এবং চার মাস শুষ্ক আবহাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বৃষ্টির দেখাই নেই।
নিম্নাঞ্চলে কফি চাষের জন্য উপযুক্ত নয়, ফলে কিলিমাঞ্জারোর কিছু কৃষক উঁচু জায়গায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। যেখানে তাপমাত্রা কিছুটা শীতল থাকে।
উত্তর কিলিমাঞ্জারোর পাহাড়ে এক হেক্টর জমিতে কফি চাষ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ভিকি ম্যাসাওয়ে। আবহাওয়া খারাপের কারণে তার কফির ফলনে প্রভাব পড়ছে। তিনি বলেন, 'আমরা খুবই খড়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বৃষ্টি একদমই অপ্রত্যাশিত'।
শতাধিক কফি চাষির প্রতিনিধিত্ব করছেন ভিকি । তিনি বলেন, 'এই অঞ্চলে এক সময় স্থিতিশীল তাপমাত্রা এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হতো। ফলে কফি চাষের জন্য আদর্শ ছিল'।
কিন্তু বিভিন্ন জাতের কফির আবাদ আগের চেয়ে কম। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এখানকার চাষিদের দুশচিন্তার মধ্যে দিয়েই কাটাতে হচ্ছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি