শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা চীন কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে বলে দেখা যায়নি। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতাও করছে না বেইজিং।
কিন্তু সম্প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা চীনের নির্দিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির ওপর, চীনা সরকারের ওপর নয়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়াকে সমর্থনের অভিযোগে চীনের পাঁচটি কোম্পানিকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পকে সহায়তার দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের বাণিজ্য বিভাগ বলছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর আগে এই কোম্পানিগুলো রাশিয়ার ‘উদ্বেগজনক সংস্থাগুলোকে’ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করেছিল। পরবর্তীতেও তারা নিষেধাজ্ঞা তালিকায় থাকা রুশ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরবরাহ জন্য চুক্তি অব্যাহত রেখেছে।
ফেডারেল রেজিস্টার এন্ট্রির তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের মোট ৩৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে ২৫টিরই চীন সংযোগ রয়েছে বা ছিল বলে জানা গেছে।
রাশিয়াকে যুদ্ধে সহযোগিতা করলে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে আসছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। কিন্তু তারা বারবার বলে আসছেন এখনও মস্কোকে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে সামরিক বা অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতার কোনও ঘটনা শনাক্ত করা যায়নি।
সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার তালিকার কথা ইঙ্গিত করে বাইডেন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, চীন সরঞ্জামগত সহযোগিতা করছে না। যারা রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, চীনের সরকার পরিকল্পিতভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাচ্ছে বা রাশিয়াকে সামরিক সহেযাগিতা করছে বলে আমরা দেখিনি।
ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়ার মিত্রদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ কোম্পানি ও ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে চীন। একই সঙ্গে তারা মস্কোর ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। তারা দাবি করে আসছে, ইউক্রেন বা রাশিয়াকে তারা কোনও সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে না। কিন্তু চীনা কোম্পানির অধিকার সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।