শিরোনাম
ভারতের মুম্বাইয়ে সম্প্রতি একটি চারতলা ভবন ধসে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (বিএমসি) এ তথ্য জানায়।
বিএমসি জানায়, ধ্বংসাবশেষ থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘাটকোপারের রাজাওয়াদি হাসপাতালে আনাদের মধ্যে ২৮ ও ৩০ বছর বয়সী দুই যুবককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে দমকল কর্মী এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সুভাষ দেশাই বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাখ ৫ লাখ রুপি এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
স্থানীয় সাবেক করপোরেটর প্রবীনা মোরাজকার বলেন, ভবনটির বাসিন্দাদের এবং এলাকার আরও তিনটি ভবনকে খালি করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে যারা ভাড়া থাকতেন, তারা চলে যাননি।
ওই ভবনের মালিককে এখনও পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
বিএমসির অতিরিক্ত কমিশনার অশ্বিনী ভিদে বলেন, ধসে পড়া ভবনটি জরাজীর্ণ ছিল। ২০১৩ সালে প্রথমবার মেরামতের জন্য এবং পরে ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ভবনের বাসিন্দারা নিজেদের ঝুঁকি ও খরচে সেখানে থাকবেন বলে অঙ্গীকারনামাও দিয়েছিলেন।
ঘটনাস্থলে ধারণ করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা ভবনের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিচ্ছে।
এনসিপি নেতা সুপ্রিয়া সুলে বলেন, তিনি ভবন ধসের কারণে প্রাণহানিতে অত্যন্ত দুঃখিত।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে সময় ওই ভবনে প্রায় ২১ জন ছিলেন।
চলতি মাসে শহরটিতে এটি তৃতীয় বড় ভবন ধসের ঘটনা।
সূত্র : এনডিটিভি