শিরোনাম
সম্প্রতি কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে ৯৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে।
প্রকৃত শুল্কের মধ্যে বর্ধিত ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করায় পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা আদালতের দারস্ত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডেসপ্যাচ কোম্পানি (এনটিডিসি) প্রকল্পের সিওডি থেকে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য ১৪৭ মেগাওয়াট প্যাট্রিন্ড হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে বিদ্যুৎ সরাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে পাওয়ার ডিভিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রী খুররম দস্তগিরের অধীনে পাওয়ার ডিভিশন একটি রেট নির্ধারণ করেছে। এ নিয়ে এনটিডিসি, সিপিপিএ এবং পাওয়ার ডিভিশনের অসাধু কর্মকর্তাদের র্যাকেট ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা প্রকল্প থেকে সময় মতো বিদ্যুৎ সরিয়ে না নেওয়ার জন্য দায়ী।
এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে দেখা গেছে এনটিডিসি কোনো আপত্তি উত্থাপন করেনি, যখন কোরিয়ান কোম্পানি বিদ্যুৎ বিতরণ পয়েন্ট তৈরি করেছিল। বর্তমানে এনটিডিসি ৪২১ বিলিয়ন ডলার ট্রান্সমিশন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে কর্মকর্তারা বলছেন, আমরা একজন যুগ্ম সচিবকে অপসারণ করেছি, যিনি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য এনটিডিসির সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
তারা বলেন, শেহবাজ শরীফ যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন বিষয়টি তার সামনে আনা হয়। তিনি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির উপায় খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।
ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, এসএইচপিএল একটি স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান। এটি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর জেলার মুজাফফরাবাদের পাত্রিন্দ গ্রামের কাছে কুনহার নদীর ওপর ১৪৭ মেগাওয়াট রান-অব-রিভার প্যাট্রিন্ড জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং বিকাশ করেছে। প্রকল্পটি পাকিস্তানের জাতীয় গ্রিডের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। প্রকল্পটি ৩০ বছরের রেয়াত মেয়াদসহ বুট (boot) ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প ২০০২ এর জন্য সরকারের নীতির অধীনে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় একটি ভবিষ্যত কর্মপন্থা চূড়ান্ত করছে৷ এ জন্য পাকিস্তান এখন আদালতের বাইরে এটির নিষ্পত্তি চান।
সূত্র : দ্য নিউজ