শিরোনাম
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যপদ আবেদনে সমর্থন দিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে বৈঠকের পর তিনটি দেশ একটি যৌথ স্মারক স্বাক্ষরের পর এই অগ্রগতি এসেছে।
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো নেতারা আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে জোটে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাবেন।
এদিকে, মাদ্রিদে শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা উচ্চ সতর্কতায় সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জার্মানিতে পৃথক শীর্ষ সম্মেলনের সময় জি-৭ নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলা শুরুর পর নিরাপত্তা শঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ন্যাটো জোটের অনেক সদস্যদেশ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে তুরস্ক বলে আসছিল, ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় তাদের আপত্তি রয়েছে। এ উদ্যোগে বাধা দেবে আঙ্কারা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘পুরো স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর অতিথিশালা। এ পরিস্থিতিতে আমরা তাদের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা সমর্থন করতে পারি না। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা (ফিনল্যান্ড ও সুইডেন) অবস্থান সুস্পষ্ট না করা পর্যন্ত আমরা কীভাবে এ প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারি?’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তুরস্কসহ ৩০টি দেশ ন্যাটোর সদস্য। জোটের নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে সব সদস্যদেশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এত দিন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের জন্য ন্যাটো সদস্যপদ পেতে বড় বাধা হয়ে ছিল তুরস্কের আপত্তি। কিন্তু সে বাধা দূর হচ্ছে।
এর আগে ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া রাশিয়ার জন্য নিরাপত্তাজনিত হুমকি বয়ে আনবে না। তবে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে পুতিন বলেন, প্রতিবেশী দেশে অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর আগেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ন্যাটোতে যোগ দিলে ফিনল্যান্ড বড় ‘ভুল করবে’।