শিরোনাম
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলে তৃণমূলের এক কর্মিসভায় পুলিশের চোখ এড়িয়ে চার চাকরিপ্রার্থী নারী গোপনে রাখা প্লাকার্ড হঠাৎ হাতে তুলে ধরেন। তাতে লেখা ছিল, ‘দিদি কিছু বলতে চাই, দিদি কথা বলুন’। হঠাৎ পুলিশ এসে ওই নারীদের হাতে থাকা প্লাকার্ড ছিঁড়ে ফেলে। ওই চার নারী ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের ভাগ্যে চাকরি জোটেনি।
তাঁদের প্ল্যাকার্ড তুলে ধরার ঘটনায় সভাজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে তা নিয়ন্ত্রণ করে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ওই নারীদের ডেকে তাদের কথা শোনেন। তিনি তাঁদের চাকরির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মমতা বলেন, ‘আপনাদের চাকরি বন্ধ করেছেন বিকাশ বাবু। এবার তাঁকে বলুন চাকরির ব্যবস্থা করতে।’ বিকাশ ভট্টাচার্য হলেন সিপিএমের রাজ্যসভার সদস্য ও কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তিনিই চাকরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক মামলা দায়ের করেছেন।
বিকাশ ভট্টাচার্যকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘আপনিই মামলা করে চাকরি বন্ধ করেছেন, এবার আপনি চাকরির ব্যবস্থা করুন। এখন আমার হাতে শিক্ষকতার ১৭ হাজার চাকরি প্রস্তুত রয়েছে। মামলার কারণে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আপনারা বিকাশ বাবুকে চাকরি দিতে বলুন। এরপরেই আমরা ১৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারব।’
মমতার এই মন্তব্যের পর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘নিজেদের দোষ ঢাকতে এবার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছেন মমতা। চাকরি নিয়ে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, চুরি করেছেন, ঘুষ নিয়েছেন, তাদের বাঁচানোর জন্য এই মিথ্যার পথ বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। উনি দীর্ঘদিন ধরেই অসত্য কথা বলছেন। ওনার কাজ এখন অসত্য কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।