শিরোনাম
এক রিপোর্টে জানা গেছে, বিশ্বে ২০২১ সালে ২৮ কোটি ৪০ লাখ লোক মাদক গ্রহণ করে অর্থাৎ এ সংখ্যা ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রতি ১৮ জনে একজন। যা ২০১০ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
জাতিসংঘ সোমবার সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে।
এও বলা হচ্ছে, আফিম বাজারের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন আফগানিস্তানের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অভিজ্ঞতার বরাত দিয়ে ইউনাইটেড ন্যাশন্স অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধাঞ্চলগুলো সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
আরও বলা হয়, সংঘর্ষ পীড়িত এলাকা বৃহৎ ভোক্তা বাজারের কাছাকাছি হলে এর প্রভাব আরও বেশি হতে পারে।
ইউএনওডিসি বলছে, ইউক্রেনে ভেঙে দেয়া অ্যাম্ফিপেটেমিন ল্যাবরেটরির সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ১৭টি, যা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৯টি। বিশ্বে ২০২০ সালে জব্দ ল্যাবরেটরির এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির সক্ষমতা ইউক্রেনের আরও বেড়ে যাবে। কারণ যুদ্ধ চলা কোন দেশে এ ধরনের ল্যাবরেটরি বন্ধে তদারকি করা সম্ভব নয়।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সংস্থাটির মত, বিশ্বে ২০২১ সালে ৮৬ শতাংশ আফিম উৎপাদনকারী দেশ ছিল আফগানিস্তান। এই দেশটিই আফিম বাজারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
দেশটির মানবিক সংকট পপি উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও তালেবান এপ্রিলে পপি চাষ নিষিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের পরিবর্তন বিশ্বের সব অঞ্চলে আফিম বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
এদিকে বিশ্বে কোকেন উৎপাদনেও নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিশ্বে ২০২০ সালে এক হাজার ৯৮২ টন কোকেন উৎপাদিত হয়।