শিরোনাম
ভারতে একটি ফ্যাক্ট-চেকিং (তথ্যের সত্যতা যাচাই) ওয়েবসাইটের সহপ্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন।
অল্ট নিউজের ওই সাংবাদিক মোহাম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে টুইটারে ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা।
তারা বলেছে, এটি হিন্দু-জাতীয়তাবাদী সরকারের সমালোচনা করে যারা বক্তব্য দেয়, তাদের দমন করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন বিতর্কে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন মুখপাত্রের মহানবি (সা.)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য তুলে ধরেন জুবায়ের। তার টুইটটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ ভারতকে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জুবায়েরের করা অতীতের মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য তার বিচারের দাবি জানিয়েছে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা।
দিল্লি পুলিশের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, জুবায়েরকে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। ওই পোস্টের অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের একটি পোস্টে হিন্দুদের দেবতা হনুমানের নামে একটি হোটেলের নাম পরিবর্তন করার বিষয়ে মন্তব্য করে হিন্দুদের অপমান করেছিলেন তিনি।
তার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বহু সাংবাদিক।
একজন মুসলিম সাংবাদিক রানা আইয়ুব বলেন, জুবায়ের যিনি নিয়মিতভাবে ভুয়া খবর ফাঁস করেছেন, ভারতে বিদ্বেষপ্রসূত কৌশল উন্মোচন করেছেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশ তাদের শাস্তি দিচ্ছে যারা রিপোর্ট করেছে, অধপতনের তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, ‘বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি, ধর্মান্ধতা এবং মিথ্যা প্রকাশ করে দেওয়া প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। সত্যের একটি কণ্ঠকে গ্রেপ্তার করলে আরও হাজার হাজারের জন্ম হবে।’
সূত্র : বিবিসি