শিরোনাম
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল খাদিমি তেহরানে পৌঁছেছেন। ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। রবিবার ইরান পৌঁছানোর আগে সৌদি আরবে সংক্ষিপ্ত সফর করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন এবং অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল খাদিমি তেহরানের সাদাবাদ প্রাসাদে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্বাগত জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
এর আগে শনিবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সংক্ষিপ্ত সফর করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানান সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
আল খাদিমির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন ও শক্তিশালী করতে অবদান রাখার মতো’ ‘স্থিতিশীল ও গঠনমূলক সংলাপ এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজ।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বি তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে আগেই আলোচনা উদ্যোগ নিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে পরস্পরের বিরুদ্ধে গত সাত বছর ধরে লড়াই করা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দূরত্ব অবসানে নেওয়া সেই উদ্যোগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সাম্প্রতিক সফর করছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
তেহরানে বৈঠকের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আল খাদিমি এক সংবাদ সম্মেলনে নির্দিষ্ট করে সৌদি আরবের নাম উল্লেখ না করেই বলেছেন তারা এই অঞ্চলে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আল খাদিমির পাশে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করে ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘জায়নবাদী শাসকের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং বিদেশিদের উপস্থিতি এই অঞ্চলের জন্য মঙ্গলজনক নয় আর এতে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না’।
উভয় নেতাই স্বীকার করেন ইয়েমেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা নয় বলে সম্মত হয়েছেন তারা। এছাড়া আলোচনার মাধ্যমে মানবিক সংকট তৈরি করা যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে বলেও সম্মত হন দুই নেতা। তারা ইয়েমেনে জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন আলোচনায় যুদ্ধবিরতির জন্য তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
সূত্র: আল জাজিরা