চীনকে টেক্কা দিতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা

ফানাম নিউজ
  ২৭ জুন ২০২২, ১৪:৪২

একুশ শতকের ‘সিল্ক রোড’ বলা হচ্ছে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআই। স্থলপথে বহু করিডোরের বেষ্টনী (বেল্ট) আর সমুদ্রপথে সুদীর্ঘ এক শিপিং লেনের যাত্রাপথকে ঘিরেই প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে যার বাস্তব রূপ দিতে চাইছে চীন। এবার চীনের এই প্রকল্পের কাউন্টার হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের জন্য ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে জি-৭। 

বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশগুলো নিয়ে গঠিত জি-৭ দেশের নেতারা রবিবার (২৬ জুন) জার্মানিতে বৈঠকে বসেন। সেখানে ৬০ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো তহবিল ছিল প্রথম ঘোষণা। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের পাল্টা পদক্ষেপে জি৭ নতুন পরিকল্পার কথা শোনালো। খবর বিবিসি ও ডয়চে ভেলের।

বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এই বিনিয়োগের ফলে সবাই উপকৃত হবে। এমনকি আমেরিকার জনগণও। সার্বিকভাবে সবাই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবো’।

তিনি আরও বলেন, আমি পরিষ্কার করতে চাই এটি কোনও সাহায্য বা দাতব্য নয়। একটি বিনিয়োগ যা প্রত্যেককেই রিটার্ন করা হবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সুনির্দিষ্ট সুবিধাগুলো দেখতে দেবে দেশগুলো।

পরিকল্পনায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে অবকাঠামো প্রকল্প চালু করতে পাঁচ বছরের মধ্যে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করতে জি৭ নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে।  

এদিকে জি-৭ এর সম্মেলনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের টেকসই বিকল্প গড়ে তোলার জন্য পাঁচ বছরের ওই একই সময়সীমায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার কোটি ইউরো সংগ্রহ করবে ইউরোপ।

জি৭ তহবিল থেকে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে সোলার ফার্ম গড়ে তোলা, ৩২ কোটি ডলার দিয়ে আইভরি কোস্টে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চার কোটি মার্কিন ডলারে আঞ্চলিক স্তরে বিকল্প শক্তি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, লিঙ্গ সমতা অর্জন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

পশ্চিমা দেশগুলো বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে, চীন বিআরআই চাপিয়ে কম আয়ের দেশগুলোকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। দেশটি এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বাণিজ্য বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। এতে লাভবান হচ্ছে চীন নিজেই।