শিরোনাম
রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জার্মানির ভোক্তাদের তিনগুণ বেশি দাম দিতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়র জ্বালানি কর্মকর্তা।
গত সপ্তাহে মস্কো নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। যান্ত্রিক কারণ উল্লেখ করে মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিলেও বার্লিন তা অজুহাত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। জার্মানির ফেডারেল নেটওয়ার্ক সংস্থার প্রধান ক্লাউস মুলার বলেছেন, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বাজার মূল্য চার থেকে ছয়গুণ বাড়ায় প্ররোচণা দেবে।
মুলার বলেন, এই ধরনের ‘মূল্যের বিশাল বৃদ্ধি’ সম্পূর্ণভাবে ভোক্তাদের ওপর চাপানোর আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু জার্মান নাগরিকদের নাটকীয়ভাবে ক্রমবর্ধমান খরচের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হচ্ছে। তিনি সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এআরডি’কে বলেন, ‘এটি দ্বিগুণ বা তিনগুণ হওয়া সম্ভব’।
মুলার বলেন, গত শরতে গ্যাসের বাজারে উচ্চমূল্যের কারণে জনগণের জ্বালানি বিলে বাড়তি খরচ প্রতিফলিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রণালয় তিন ধাপের জ্বালানি জরুরি পরিকল্পনার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ঘোষণা দিয়েছে। এতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, রাশিয়া পদ্ধতিগতভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ-মেয়াদে সরবরাহ ঘাটতির ঝুঁকি বাড়বে।
কথিত ‘অ্যালার্ম ফেজ’ ঘোষণার কারণে ইউটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাসের বাড়তি দাম নিতে পারবে আর এর ফলে চাহিদা কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন, আশঙ্কা রয়েছে আগামী ১৩ জুলাইয়ের পর থেকে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে। ওই সময়ে নর্ড স্ট্রিম ১ বার্ষিক পরিদর্শনের সময় দশ দিন বন্ধ রাখার কথা রয়েছে।
মুলার জানান, রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ ছাড়া জার্মানি মাত্র দুই মাস চলতে পারবে। তিনি বলেন, জার্মানির স্টোরেজ সুবিধাগুলো যদি গাণিতিকভাবে শতভাগ পূর্ণ হয় ... আমরা রাশিয়ান গ্যাস ছাড়া সম্পূর্ণভাবে চলতে পারতাম ... প্রায় আড়াই মাসের জন্য এবং তারপর স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলি খালি হয়ে যাবে’।
এই সরবরাহ ঘাটতি মেটাতে জার্মানির গ্যাস সংরক্ষণ এবং দ্রুত সরবরাহের বিকল্প উৎস খোঁজা প্রয়োজন বলে জানান মুলার।
সূত্র: গার্ডিয়ান