শিরোনাম
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তুরস্ক সফর করছেন বুধবার। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর এই প্রথমবার তুরস্ক সফর করছেন তিনি।
যুবরাজের এ সফরকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা কাটানোর আরও একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকেরা।
খাসোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর রিপেস তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো শুরু করলে খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন সৌদি যুবরাজ।
খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পেছনে সালমানের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ আরও দৃঢ়তা লাভ করে যখন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।
যদিও রিয়াদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বর্তমানে রিয়াদ আরব বসন্ত বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে আদর্শগতভাবে বিরোধিতাকারী দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা লাভের চেষ্টা করছে।
একইসঙ্গে তুরস্কও এরদোয়ানের শাসনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সম্পর্ক জোরদারের প্রত্যাশা করছে। কারণ দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের আর এক বছর বাকি রয়েছে।
তুরস্কের একজন কর্মকর্তা বলেন, উভয়পক্ষ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় সমর্থন এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে সহযোগিতার বিষয় রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এ অঞ্চলে ধীরে ধীরে যে শান্তি ফিরে আসছে তা প্রত্যক্ষ করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এতে তার সায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক গনুল তোল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে নেওয়া এসব পদক্ষেপের কারণে এ অঞ্চলে উত্তেজনা কমছে এবং কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হচ্ছে।
তবে তিনি প্রশ্ন করেন এরদোয়ানকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে প্রস্তুত কিনা মোহাম্মদ বিন সালমান। বলেন, খাসোগি হত্যার পর তুরস্কের ভূমিকার কথা এত সহজে ভুলবেন না যুবরাজ।
আরও বলেন, আমি মনে করি না এত অল্প সময়ে তুরস্কের অর্থনীতির নাটকীয় কোন অগ্রগতি হবে।
এদিকে তুরস্কে মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের একমাস পরই রিয়াদ সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে সৃষ্ট জ্বালানি সংকটের ওপর আলোকপাত করবেন বলে জানা গেছে।