শিরোনাম
প্রচণ্ড জ্বালানি সংকটের কারণে সরকারি অফিস এবং স্কুল দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। কারণ আমদানিকৃত জ্বালানির অর্থ প্রদানের করতে ডলারের সংকটে গণপরিবহন প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) দেশটির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যা আগামী সোমবার থেকে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কার্যকর হবে।
দেশটিতে পেট্রোল ও ডিজেলের তীব্র সংকটের মধ্যে সব বিভাগ, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় কাউন্সিলকে সীমিত পরিসরে পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহন সংকটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের জ্বালানি ব্যবস্থা করতে না পারার কারণে কর্মক্ষেত্রে সশরীরে থাকা কর্মীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ সংকটে গত বছরের শেষ দিক থেকে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি।
এছাড়া দেশটিতে রয়েছে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং জনগণকে দীর্ঘসময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে। এসব কারণে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ হয়, যা কখনো কখনো সহিংসতায় রুপ নেয়। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে এই সপ্তাহের শুরুর দিকে জ্বালানি বাঁচাতে কর্তৃপক্ষ শুক্রবারকে ছুটি ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতেও শুক্রবার পেট্রোল পাম্পে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। মোটরসাইকেল চালকেরা বলছেন, তাদের কেউ কেউ পেট্রোলের জন্য সেখানে কয়েক দিন ধরে অপেক্ষায় আছেন।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সোমবার থেকে সব স্কুল দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখতে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ থাকলে অনলাইনে পাঠদান করতে বলা হয়েছে।
এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হয়েছে এবং দেশটি অর্থ সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
সূত্র : এএফপি, দ্যা হিন্দু