শিরোনাম
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) গতকাল বুধবার দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর সম্পদের হিসাবও আছে এতে। ইসিপির হিসাবে দেখা যাচ্ছে, শাহবাজ শরিফের সম্পত্তির পরিমাণ ২৪৬ মিলিয়ন রুপি। আর লন্ডনে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩০ মিলিয়ন রুপি। আর প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে দুই মিলিয়ন রুপি। তবে প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজের লন্ডনের অ্যাকাউন্ট শূন্য। তিনি ছেলে সুলেমান শাহবাজের কাছ থেকে ৬৩.৯ মিলিয়ন রুপি ধার নিয়েছেন।
ইসিপির প্রকাশিত নথিতে দেখা যাচ্ছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল ইপিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানের সম্পদের পরিমাণ ১৪২ দশমিক ১ মিলিয়ন রুপি। জামান পার্ক, মিয়ানওয়ালিতে ও বাক্কারে কয়েকটি বাড়ির মালিক তিনি। উপহার হিসেবে বনি গালা এলাকায় ৩০০ কানাল (১ কানালে ৬০৫ গজ) জমির একটি বাড়ি পেয়েছেন ইমরান। এ বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন রুপি। আর জামান পার্কের বাড়িতে ব্যয় হয়েছে ৪৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন রুপি।
এ ছাড়া ইমরান খান রাজধানী ইসলামাবাদের গ্র্যান্ড হায়াতে দুটি অ্যাপার্টমেন্টের জন্য ১১ দশমিক ৯ মিলিয়ন রুপি আগাম বুকিং দিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবির দেশটির পাকপাত্তান এলাকায় ৫২ কানাল জমি রয়েছে। এ ছাড়া পির ঘানি এলাকায় ৩৭৯ কানাল জমি, ওকারা এলাকায় ২৬৭ কানাল জমি আছে বুশরা বিবির। আর বনি গালা এলাকায় তিন কানাল জায়গার ওপর তাঁর একটি বাড়ি আছে।
পিপিপির কো–চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৪ দশমিক ২ মিলিয়ন রুপি। আর পাকিস্তানে ২০টি বাড়ি আছে, এর মধ্যে তিনি উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছেন ৫টি। এ ছাড়া তাঁর ১৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন রুপির অস্ত্র ও ৬টি গাড়ি আছে। পাকিস্তানের বাইরে তাঁর কোনো সম্পত্তি নেই।
পিপিপির চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সম্পত্তির পরিমাণ ৬০০ মিলিয়ন রুপি। পাকিস্তানে তাঁর ১৯টি বাড়ি আছে। আর তাঁর ৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে।
ব্যাংকে বিলাওয়ালের আছে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন রুপি। এ ছাড়া বিলাওয়ালের কাছে ১৫০ তোলা স্বর্ণ ও ৭টি ঘড়ি আছে। দুবাইয়ে তাঁর বিনিয়োগও আছে। সেখানে তাঁর দুটি বাংলো আছে—একটি উপহার হিসেবে পাওয়া, আরেকটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ আহমেদের ৪টি বাড়ি ও ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন রুপি আছে। তিনি দুটি গাড়ির মালিক। সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খানের সম্পদ ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন রুপি।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মহাসচিব আহসান ইকবালের নারোয়াল ও রাহিম ইয়ার খান এলাকায় তিনটি বাড়ির মালিক। উত্তরাধিকার সূত্রে ১৫ তোলা সোনা পেয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। আহসান ইকবালের ব্যাংকে ৩ লাখ ২৪ হাজার রুপি আছে। তাঁর হাতে নগদ আছে ২ লাখ ৬৫ হাজার রুপি।
তথ্যসূত্র: জিও নিউজ