২০২১ সালে পরমাণু অস্ত্রধারী নয় দেশের ব্যয় সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকা

ফানাম নিউজ
  ১৫ জুন ২০২২, ১৪:০০

বিশ্বের নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ২০২১ সালে তাদের অস্ত্র পরিমার্জন করতে ৮২.৪ বিলিয়ন ব্যয় করেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিস নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায়, এ ব্যয় আগের বছরের তুলনায় আট শতাংশ বেশি।

এ সময়ে পরমাণু অস্ত্রের পেছনে বেশি ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি। তারপর রয়েছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

পরমাণু অস্ত্রবিরোধী গ্রুপটি বলছে, যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণকে সমর্থন করে, তখন এ রাষ্ট্রগুলো ২০২১ সালে গণবিধ্বংসী বেআইনি অস্ত্রের জন্য অসংগত পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে।

প্রতিবেদনে বল হয়, এই ব্যয় ইউরোপে একটি যুদ্ধ রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করেছে। অথচ যা বর্তমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বা বিশ্বব্যাপী মহামারি মোকাবিলা করতে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অপচয়ের এই দুর্নীতিবাজ চক্রের অবসান ঘটাতে হবে।

আইসিএএন জানায়, অস্ত্র উৎপাদনকারীরাও লবিং-এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে। গড়ে ২৫৬ ডলারের অস্ত্র বিক্রির নতুন চুক্তিতে ১ ডলার করে লবিং খরচ পড়েছে।

সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ (এসআইপিআরআই) সতর্ক করেছে, নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ তাদের অস্ত্রাগার বড় করছে। এখন এই ধরনের অস্ত্র মোতায়েনের ঝুঁকি স্নায়ুযুদ্ধের পর কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণকারী রাশিয়া প্রকাশ্যে তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে।

এ দিকে আইসিএএনের অনুমান, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও মহামারির কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ২০২১ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ৬৪.২ কোটি ডলার ব্যয় করেছে উত্তর কোরিয়া।  অবশ্য তালিকার একদম শেষে রয়েছে দেশটি।

এক নজরে কোনো দেশের খরচ ছিল কত: যুক্তরাষ্ট্র ৪৪২০ কোটি ডলার, চীন ১১৭০ কোটি ডলার, রাশিয়া ৮৬০ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্য ৬৮০ কোটি ডলার, ফ্রান্স ৫৯০ কোটি ডলার, ভারত ২৩০ ডলার, ইসরায়েল ১২০ কোটি ডলার, পাকিস্তান ১১০ কোটি ডলার ও উত্তর কোরিয়া ৬৪.২ কোটি ডলার।