তিন লাখ টন শস্য ধ্বংস করেছে রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের

ফানাম নিউজ
  ১২ জুন ২০২২, ১৫:০৫

রাশিয়ার হামলায় ৩ লাখ টন পর্যন্ত শস্য ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। রুশ আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। এর জন্য পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলো।

পাল্টাপাল্টি এই দোষারোপের মধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগ সামনে এনেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের ডেপুটি কৃষিমন্ত্রী তারাস ভিসোটস্কি বলেছেন, গত সপ্তাহের শেষদিকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে ধ্বংস হয়ে গেছে এমন গুদামগুলোতে ৩ লাখ টন পর্যন্ত শস্য সংরক্ষণ করা ছিল। শনিবার পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে তিনি এই তথ্য জানান।

তারাস ভিসোটস্কি বলেন, আমাদের হাতে থাকা রেকর্ড অনুসারে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধের শুরুতে মিকোলাইভ শহরে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বন্দরে অবস্থিত ইউক্রেনের বৃহত্তম কৃষি পণ্য টার্মিনালের গুদামগুলোতে ২ লাখ ৫০ হাজার টন থেকে ৩ লাখ টন শস্য মজুত ছিল। এসব শস্যের বেশিরভাগই প্রধানত গম ও ভুট্টা।

এর আগে গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘে বিবাদে জড়ায় দুই চরম বৈরী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সেসময় অভিযোগ করেছিলেন, ইউক্রেনের খাদ্য শস্য আটকে বিশ্ব বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ফায়দা তুলতে চাই রাশিয়া।

অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি ছিল, পশ্চিমা বিশ্বের জল্পনা-কল্পনা ও ভুল নীতি, বৈশ্বিক বিমা ব্যবস্থার ত্রুটি, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্য পণ্যের মূল্য বাড়ছিল, বর্তমানে তার উল্লম্ফণ ঘটেছে।

এছাড়া, রাশিয়া নয় বরং ইউক্রেন নিজেদের গম আটকে রেখেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া। এমনকি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করাকেও খাদ্য সংকটের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ এই দূত।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে খাদ্য, সার ও ফসলের বীজ রপ্তানি করা যাচ্ছে না’।